




প্রত্যেকটা মানুষেরই কিছু না কিছু গুন থাকে। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা অনুপ্রেরণার গল্প রয়েছে। প্রীতি হুড্ডারও এরকম একটি গল্প আছে। এই প্রীতি ছিলেন বাহাদুরগর হরিয়ানার বাসিন্দা। তাঁর বাবা ছিলেন একজন বাস চালক। তিনি শৈশব থেকেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন। তিনি দিল্লির লক্ষ্মীবাঈ কলেজ থেকে হিন্দিতে স্নাতক পাস করেছিলেন। প্রীতি একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন যে, তার পরিবার একটি যৌথ পরিবার এবং তিনি এই পরিবারেই বড় হয়েছেন।





তিনি আরও বলেছিলেন যে, তার গ্রামের আশেপাশের মেয়েদের লেখাপড়ার খুব একটা ইচ্ছা ছিল না, তাই তাদের খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া হতো। চারিদিকে এমন পরিস্থিতি দেখে প্রীতি ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে, এত তাড়াতাড়ি সে বিয়ে করবে না। তাই তিনি তার পরিবারের সদস্যদের কাছে আরও পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। প্রীতি জানায় যে, স্নাতক হওয়ার সময় তার বন্ধুরা তাকে IAS পরীক্ষার কথা বলেছিল। এরপরই তিনি IAS অফিসার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।





প্রীতি পুরো সংকল্প নিয়েই IAS এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেন। তিনি জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে, হিন্দিতে পিএইচডি এর জন্য ভর্তি হন। এরপরে তিনি কঠোর পরিশ্রম এবং নিষ্ঠার সাথে IAS এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। তার ইউপিএসসি পরীক্ষার ইন্টারভিউ প্রায় 30 মিনিট ধরে চলেছিল। এবং সেখানে তাকে প্রায় 30 টি প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। তিনি ইন্টারভিউ থেকে শুরু করে সমস্ত পরীক্ষা হিন্দিতেই দিয়েছিলেন।





তিনি 30 টি প্রশ্নের মধ্যে 27 টি প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হয়েছিলেন। প্রীতি ইউপিএসসি পরীক্ষায় 288 তম স্থান অর্জন করে IAS অফিসার হয়েছিলেন। এই কথাটি প্রথমে তিনি তার বাবাকে জানান, তখন তার বাবা দিল্লিতে বাস চালাচ্ছিলেন। প্রীতির সাফল্যের জোরেই আজ তার পরিবারের নাম সারাদেশে আলোকিত হয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে মেয়েরা কেবল বাড়ি এবং রান্না ঘরের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় বরং তারা সমানভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশজুড়ে হাটতেও সক্ষম।।




