




আজকের দিনে মহিলারাও কোণো অংশে পিছিয়ে নেই। তারাও পুরুষদের সাথে সমানভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হাঁটছেন। যেখানে আগে মহিলারা কেবলমাত্র গৃহবধূর মর্যাদা পেত, আজ সেখানে তারা মহাকাশেও তাদের চিহ্ন রেখে আসছে। মহিলারা এখন দেশ-বিশ্বের প্রতিটি কোনে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করছে। আজ আমরা আপনাদেরকে যার কথা বলতে চলেছি তার জীবনেও এমন একটি ঘটনা রয়েছে।





তিনি হলেন প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী, যিনি ভারতীয় নৌসেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন। তাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী জাহাজ INS বিক্রমাদিত্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তিনিই হলেন দেশের প্রথম মহিলা, যিনি এই সুযোগ পেয়েছিলেন। তিনি বিক্রমাদিত্য জাহাজের কমান্ড্যান্ট অফিসার ছিলেন। তিনি রাজস্থানের আলওয়ারের একটা ছোট্ট গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।





তিনি তার প্রাথমিক পড়াশোনা রামপুর গ্রাম থেকে করেছিলেন। তার বাবা বলবীর সিং চৌধুরী একজন সেল ট্যাক্স এর কর্মকর্তা ছিলেন। সম্প্রতিই তিনি তাঁর পদ থেকে অবসর নিয়েছেন। আর তার মা ছিলেন একজন গৃহিনী। তিন বোন এবং এক ভাইয়ের মধ্যে প্রিয়াঙ্কাই বয়সে বড়। প্রিয়াঙ্কা শৈশব থেকেই সেনাবাহিনীতে চাকরি করতে চেয়েছিলেন।





তাই গ্রাম থেকে প্রাথমিক পড়াশোনা করার পর তিনি জয়পুরের মহারানী কলেজে স্নাতক পাস করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। লেখাপড়ায় দক্ষ হওয়ার কারণে তিনি নৌবাহিনীতে নির্বাচিতও হয়েগেছিলেন। নৌসেনা তে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি রাজস্থানের ভরতপুরে জগিনাতে বিয়ে করেন। তার স্বামী ছিলেন একটি সফটওয়্যার কোম্পানির আইটি পরামর্শদাতা।





স্বামীর পরিবারের লোকেরা তার এই সাফল্যের জন্য খুবই খুশি ছিলেন। এই প্রিয়াঙ্কা চৌধুরীই ছিলেন দেশের প্রথম মহিলা অফিসার যার নির্দেশে বিক্রমাদিত্য জাহাজে প্রায় 180 জন নৌসৈনিক কাজ করতেন। তিনি 2009 সালের 6 জুলাই ভারতীয় নৌবাহিনীতে কমিশনার হিসেবে নিযুক্ত হন। কাজের প্রতি তার নিষ্ঠা এবং কঠোর পরিশ্রম দেখে 3 বার পদোন্নতি করা হয়েছিল।





আর সেনাবাহিনীতে চাকরি করার কারণে প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী বিভিন্ন ধরনের দায়িত্ব পালনের সুযোগও পেয়েছিলেন। জাহাজে কমান্ডেন্ট অফিসার ছাড়াও তাকে প্যারেড কমান্ডার, প্রজাতন্ত্র দিবস এবং স্বাধীনতা দিবসে ফায়ারিং একাউন্টের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হতো। মার্কিন রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা প্রজাতন্ত্র দিবসে অংশ নেওয়ায়, তিনি মহিলা দলটিতে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতি কে গার্ড অফ অনার প্রদান করেছিলেন।।




