




সফলতা পাওয়া সহজ নয়। এর জন্য অনেক পরিশ্রম করতে হয়। আজ আমরা এমন এক মেয়ের কথা বলব যার সংঘর্ষের কথা জানলে অবাক হবেন আপনি।





অম্মুল খৈর ছোটো থেকেই প্রতিবন্ধী। অ্যাজালী ব্যোন ডিসঅর্ডারের কারণে তার হাড় ক্ষয়ে যেতে থাকে। এই জন্য তার হাঁটা-চলার ক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়।





কিন্তু অম্মুল হার মানেনি। এক সাধারণ পরিবার থেকে আসা অম্মুলের পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল না। এই সমস্ত বাঁধা তাকে স্বপ্ন দেখা থেকে আটকাতে পারেনি। সে স্বপ্ন দেখেছিল IAS অফিসার হওয়ার।





নিজের স্বপ্ন পূরণ করার লক্ষ্যে অম্মুল 2016 সালে ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসে এবং 420 তম স্থান পেয়ে উত্তীর্ণ হয়। অম্মুল খৈরের পুরো পরিবার প্রথম থেকেই আর্থিক সংকটের শিকার। তার বাবা রাস্তায় বাদাম বিক্রি করে। তারা দিল্লির নিজামউদ্দিনের বস্তিতে থাকত। কিন্তু 2001 সালে সেখানকার বস্তি ভেঙে ফেলায় তারা ত্রিলোকপুরীতে থাকা শুরু করে।





এর মধ্যেই হঠাৎ অম্মুলের মা মা’রা যায়। এরপর তার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে। সৎ মা এর সাথে অম্মুলের সম্পর্ক ভালো ছিল না। তার পরিবার পড়াশোনার পক্ষে ছিল না। এই কারণে বাড়িতে অনেক অশান্তি হতো। তাই অম্মুল ভাড়া বাড়িতে চলে যায়।





অম্মুল নিজের খরচা চালাতে বাচ্চাদের টিউশন পড়াতো। এর মধ্যেই IAS এর পরীক্ষার কথা জানতে পারে এবং প্রস্তুতিতে লেগে পড়ে। অম্মুল দিল্লির জেএনইউ থেকে মাস্টার্স কমপ্লিট করে এম.ফিল করে এবং এর পাশাপাশি ইউপিএসসি-র প্রস্তুতিও নিতে থাকে। প্রথম প্রচেষ্টাতেই এই পরীক্ষা ক্লিয়ার করে অম্মুল।




