




জি বাংলার বিখ্যাত শো দিদি নং 1। এই শো-টি শুরু হওয়ার পর থেকেই বিতর্কের সাথে জড়িয়ে রয়েছে। এই শো-তে বিভিন্ন পরিবার, শ্রেণী, জাতি, পেশা ও বয়সের “দিদি” রা খেলতে আসেন। তাঁরা খেলতে এসে নিজেদের জীবনের বিভিন্ন ঘটনার কথা বলেন। কারোর কারোর ঘটনা এতটাই মর্মস্পর্শী হয় যে চোখে জল চলে আসে দর্শকদের। সম্প্রতি এমনই এক পরিবার তাঁদের দুঃখের জীবনের কথা বলেছেন। এই পরিবারটি এসেছিলেন সুন্দরবন থেকে।





সুন্দরবন নামটা শুনলেই সুন্দরী, গরান, গেওয়া আর রয়েল-বেঙ্গল-টাইগারের কথা মনে পড়ে। সুন্দরবনের মানুষদের জীবন লড়াই করে কাটাতে হয়। আমরা হয়তো কল্পনাও করতে পারবো না ঠিক কতটা পরিমাণ ভয় আর কষ্টে তাঁদের জীবন যাপন করতে হয়। সুন্দরবনের মানুষদের প্রধান জীবিকা মধু সংগ্রহ। কিন্তু এই মধু সংগ্রহ করতে গিয়েই বহু মায়ের কোল খালি হয়, বহু স্ত্রীয়ের সিঁথির সিঁদুর মুছে যায় আবার অনেককেই হতে হয় প্রতিবন্ধী।





এর ওপর তো প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছেই। পশ্চিমবঙ্গে যত ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা যায় সবই সইতে হয় সুন্দরবনবাসীদের। ঠিক যেন মহাদেবের বিষ পান করার মতোই, তারাও কষ্ট সহ্য করে। কিন্তু তাও সরকারের থেকে তেমন কোনো সাহায্য পায় না তাঁরা। যেইটুকু পায় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের থেকেই। সম্প্রতি “দিদি নং 1” এর মঞ্চে এসেছিলেন সুন্দরবনের বাসিন্দা জ্যোৎস্না শী।





তিনি সেখানে নিজের জীবনের কথা জানান। তিনি বলেন তাঁর স্বামীকে কীভাবে প্রাণপণ লড়াই করে বাঘের মুখ থেকে বাঁচিয়ে এনেছিলেন। ডাক্তার জানিয়েছেন তাঁর স্বামীর বাঁ হাত কেটে বাদ দিতে হবে। এদিন “দিদি নং 1” এর মঞ্চে তাঁর স্বামীও উপস্থিত ছিলেন। তাঁর হাত জামায় ঢোকানোর মতোও অবস্থা নেই। তাই বাধ্য হয়ে জামার ভিতরে ঝুলিয়ে রাখতে হয় তাঁকে।





কিন্তু ভিডিওটি দেখে অনেকেই ভেবে নেয় TRP বাড়ানোর জন্য মিথ্যে গল্প ফেঁদেছে জি বাংলা। এই নিয়ে শুরু হয় মিমস ও ট্রোল। এমনকি হত দরিদ্র পরিবারটিকেও ছেড়ে দেওয়া হয়নি। পরে অবশ্য জি বাংলা থেকে পুরো ভিডিওটি আপলোড করা হয়। যেখানে সমস্ত ভুল-ভ্রান্তি মিটে যায়। একদিকে যেমন পরিবারটিকে নিয়ে মজা করছিলেন বহু মিম পেজ, তেমনই অপরদিকে কিছু বিখ্যাত মিম পেজ, সাধারণ নেট-নাগরিকে পাশে ছিলেন পরিবারটির।




