




এক সময় সিলভার স্ক্রিনের সিলভার গার্ল ছিলেন কাজল। বর্তমানে তাকে পর্দায় দেখা না গেলেও তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পায়নি। কাজলকে সর্বদা হাসি মুখেই দেখা যায়। আজ আমরা “কাজল” এর নামকরণ নিয়ে কিছু কথা বলব। আচ্ছা আপনারা কখনও কাউকে নিজের সন্তানের নাম গাড়ির নামে রাখতে দেখেছেন? হয়তো না। কিন্তু এমনই ঘটনা ঘটতে চলেছিল কাজল এর সাথে।





তার বাবা শোমু মুখার্জি কাজল এর নাম রাখতে চেয়েছিলেন “মার্সিডিজ”। মার্সিডিজ লাগজারি গাড়ির মধ্যে অন্যতম। তার বাবার মার্সিডিজ ভীষণভাবে পছন্দ ছিল। মার্সিডিজ গাড়ি কোম্পানির মালিক তার মেয়ের নামেই এই কোম্পানি শুরু করেন। অর্থাৎ “মার্সিডিজ” একটি মেয়েরই নাম। এই কারণে শোমু মুখার্জি কাজলের নাম “মার্সিডিজ” রাখতে উৎসুক ছিলেন। যদিও তা সম্ভব হয়নি। এবার আপনাদের বলব “কাজল” থেকে “কাজোল” হওয়ার ঘটনা।





আপনাদের জানিয়ে রাখি কাজল দেবগন আসলে বাঙালি। অজয় দেবগনকে বিয়ের আগে তার শেষ নাম ছিল মুখার্জি। মুম্বাইতে যাওয়ার আগে তিনি পশ্চিমবঙ্গে থাকতেন। বাঙালিদের উচ্চারণ কিছুটা আলাদা হয়ে থাকে। তাই যা হিন্দিতে “কাজাল”, তা-ই বাংলাতে “কাজোল”। কিন্তু বানানের দিক থেকে “কাজল”। এইভাবেই “কাজাল” আজ “কাজোল” নামে প্রসিদ্ধি লাভ করেছে সব জায়গায়। কাজল 1992 সালে বলিউডে “বেখুদী” ফিল্ম থেকে ডেবিউ করেন।




