




বলা হয়,যে ব্যক্তির মধ্যে অনেক সহ্য ক্ষমতা এবং আবেগ আছে সেই ব্যক্তির শারীরিক দুর্বলতাও তার সাফল্যের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। যদি একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণরূপে শারীরিকভাবে সক্ষম হয় কিন্তু তার মানসিকতা কর্ম ঘাঁটিতে পরিণত হয় তাহলে সে ব্যক্তির শারীরিক ক্ষমতা অকেজো হয়ে যায়। কিন্তু যদি সেই ব্যক্তির ইচ্ছাশক্তি প্রবল হয় তাহলে তার শারীরিক দুর্বলতার কোনো প্রভাব হয় না। এইরকমই একটি ঘটনা আমরা আজকে বলতে যাচ্ছি।





বিহারের পাটনার তনু কুমারী একটি দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়ে ফেলেন। এ ঘটনাটি 2014 সালে তনু কুমারীর সাথে ঘটেছিল। তারপর থেকে তনু কুমারীকে অনেক হতাশার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল কিন্তু তিনি জীবনে এগিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা ছাড়েননি। তনু কুমারী ভাবল হাত নেই তো কি হয়েছে ভগবান পা তো দিয়েছেন। অতএব এখন তার দৈনন্দিন জীবনের সমস্ত কাজকর্ম এখন সে তার পায়ের মাধ্যমেই করে চলেছে।





তনু কুমারী দশম শ্রেণীর ছাত্রী এবং সে প্রতিদিন স্কুলে যায় এবং তার পা দিয়ে লেখার কাজ করে। তনু কুমারীর জীবনে অনেক দুঃখ। একটি চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তনু কুমারী বলেছিলেন যে দুর্ঘটনার পরে সে ধীরে ধীরে পা দিয়ে লিখতে শুরু করে। খেলাধুলা এবং ছবি আঁকাতেও অংশ নিতে শুরু করে সে। সে বড় হয়ে একজন শিক্ষিকা হতে চায়। তনু কুমারী আজকের সময় সে সকল ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উদাহরণ যারা জীবনে বড় কিছু অর্জন করতে চায়। বর্তমানে তনু কুমারী নবম শ্রেণী পাস করে দশম শ্রেণীতে উঠেছে।




