




আইএএস অফিসার স্বাতী শ্রীবাস্তব ভাদুরিয়া নিজের প্রতিভা ও মানুষের সাথে ব্যবহারের কারণে প্রশাসনিক স্তরে পরিচিতি লাভ করেছেন। তাঁর স্বামী নীতিন ভাদুরিয়া একজন আইএএস অফিসার। তিনি স্ত্রীর জন্য ডিএম এর পদ পর্যন্ত ত্যাগ করেন। উত্তরপ্রদেশের স্বাতী ভাদুরিয়ার পড়াশোনা প্রথমদিকে লিটিল ফ্লাইওভার স্কুল থেকে হয়। এরপর তিনি আইআইটি লখনৌ থেকে ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ বিটেক করেন।





এই পড়াশোনা শেষ হওয়ার পর তিনি নিজের আইএএস হওয়ার স্বপ্নকে পূরণ করতে “ইউপিএসসি” পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। প্রথম প্রয়াসে মাত্র এক নম্বরের জন্য তিনি পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি। এরপর তিনি দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেন। সেই বার তিনি অল ইন্ডিয়া 74 তম রেংক নিয়ে ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাস করেন। তিনি প্রথমে ছত্রিশগড় ক্যাডারের আইএএস অফিসার হন।





ছত্রিশগড়ে তিনি সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট ডোঙ্গরেবাদ এবং সরায়পালী তে কাজ করতেন। এরপর স্বাতী ভাদুরিয়া নীতিন ভাদুরিয়া কে বিয়ে করেন। নীতিন ভাদুরিয়া 2011 সালের ব্যাচের আইএএস আধিকারিক। বিয়ের পর দুজনেই 2015 সালে উত্তরাখণ্ডে চলে যান। এরপর 2016 সালে স্বাতীর প্রেগনেন্সির সময় নীতিনের বদলির খবর আসে। কিন্তু সেই সময় তিনি স্ত্রী এর পাশে থাকার জন্য যেতে রাজি হন না। এরপর তাঁকে সিওডি এর পদ দেওয়া হয়। তাঁরা সর্বদা একে অপরের পাশে ছিলেন।





2018 সালে তাঁদের ভাগ্যের চাকা ঘোরে। স্বাতী ভাদুরিয়া চামোলি জেলার ডিএম পদে নিযুক্ত হন এবং নীতিন ভাদুরিয়া আলমোড়া জেলার ডিএম পদে যুক্ত হন। এই ডিএম দম্পতি নিজেদের ছেলের এডমিশন কোন বেসরকারি স্কুল বা কিন্ডারগার্ডেনে না করিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি তে করান। তাঁরা সর্বদা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। এই বছর উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলার ঋষি গঙ্গার মোহনাতে গ্লেসিয়ারের একদিক ভেঙে পড়ায় বন্যা ও নানারকম অসুবিধার সৃষ্টি হয়। এই সময় স্বাতী ভয় না পেয়ে লড়েছেন সাধারণ মানুষের জন্য। তিনি আজ বহু মানুষের অনুপ্রেরণা।




