




দেশে করোনা আসার পর থেকেই আর্থিক স্থিতি নিম্নমুখী। যখন থেকে করোনার কেস বৃদ্ধি পাওয়া শুরু হয় তখনই সরকার দ্বারা লকডাউন ঘোষণা করা হয়। হোটেল, ট্রেন, বাস, স্কুল-কলেজ সব জায়গায় তালা লেগে যায়। যদিও পরবর্তী সময়ে স্কুল-কলেজে অনলাইন ভিত্তিতে পড়াশোনা শুরু হয়। কিন্তু তা গ্রাম গঞ্জের ছেলে মেয়েদের ও নিম্নবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েদের পক্ষে সম্ভব ছিল না।





অনলাইন পড়াশোনার জন্য সবথেকে প্রয়োজনীয় হলো স্মার্টফোন যা সবার পক্ষে কেনা সম্ভব না। আজ আমরা আপনাদের এমন এক পুলিশ অফিসারের কথা বলব যিনি এই সমস্যার সমাধান এক নিমেষে করেছেন। তিনি হলেন ডিএসপি বিকাশ চন্দ্র শ্রীবাস্তব। আপনাদের জানিয়ে রাখি ইন্সপেক্টর শ্রীবাস্তব বর্তমানে ইন্টারন্যাশনাল ট্রেনিং স্কুলের সাথে যুক্ত আছেন।





এর আগে তিনি ডিএসপি পদে যুক্ত ছিলেন। তিনি “ডিএসপির পাঠশালা” নামে একটি স্কুল খোলেন। যেখানে প্রত্যন্ত গ্রামের ছেলে মেয়েরা পড়ে অথবা যাদের স্মার্ট ফোন কেনা বা টিউশান ফিস দেওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা নেই তারা ডিএসপি শ্রীবাস্তবের কাছে পড়তে আসেন। প্রথমে তিনি জুম অ্যাপ এর মাধ্যমে পড়াতেন কিন্তু ধীরে ধীরে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকলে তিনি ইউটিউবে লাইভ এর মাধ্যমে ক্লাস করাতে শুরু করেন।





তিনি জানান “ডিএসপির পাঠশালা” 11 ই জুলাই থেকে শুরু হয়। তিনি সপ্তাহে চারদিন এক ঘণ্টা করে ক্লাস নেন। এই ক্লাসের তিনি ইউপিএসসি এবং ঝাড়খন্ড সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতিতে সহায়তা করেন। এছাড়াও আটটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ বানিয়েছেন তিনি যেখানে কোনো ছাত্র ছাত্রীর অসুবিধা হলে তারা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলে তিনি তা সলভ করে দেন। আপনাদের বলে রাখি দেওঘরের আম্বেদকর লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট থেকে তাকে একটি স্মার্টবোর্ড গিফট করা হয় এই স্মার্ট বোর্ডের সাহায্যে তিনি বর্তমানে পড়ান।





তার কোচিং এর পড়া ছাত্রছাত্রীরা সরকারি চাকরির পরীক্ষায় সফলতা অর্জন করছেন। জেপিএসসি 6 পরীক্ষায় 11 জন ছাত্র সফলতা লাভ করেছেন। তার ছাত্র সুমন গুপ্তা প্রশাসনিক সেবায় রাঙ্ক করেছিলেন। রাজ্য পুলিশ পরীক্ষায় টপ করা প্রদীপ্ত প্রবীণ ডিএসপি শ্রীবাস্তবের ছাত্র। তবে এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নিজের ডিউটি সামলেও বাচ্চাদের পড়াশোনার সাথে কোনো সমঝোতা করেননি এই ধরনের শ্রীবাস্তব বাবু। এমন পুলিশ অফিসার আমাদের দেশে আরো প্রয়োজন।।




