




তথ্য প্রযুক্তির দিক থেকে বিশ্ব আজ “গ্লোবাল ভিলেজ”। এখন আর ভাষা কোন মতেই বাধা হয়না কমিউনিকেট করার জন্য। এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজ সীমানা ছাড়িয়েও মানুষ একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পারে। আজ সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের প্রতি পদে পদে প্রয়োজনে পড়ে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় না শুধু হাস্যকর ভিডিও দেখে থাকি এর পাশাপাশি বিভিন্ন নাচ ও গানের ভিডিও দেখি।





সোশ্যাল মিডিয়া বলতে আমরা মূলত হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার ও ইউটিউব কেই বুঝে থাকি। এই সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে আজ অনেক কঠিন কাজ খুব সহজে ও দ্রুত সম্পন্ন করা সম্ভব হয়। বলা হয়ে থাকে গানের অনেক শক্তি। গান নিজ ক্ষমতা বলে মানুষের মন মুহূর্তে বদলে দিতে পারে। স্বাধীনতার আগে এই গান ব্যবহার করা হতো বিপ্লবীদের মনে সাহস ও উদ্যম জোগাতে।





আজ স্বাধীনতার এত বছর পরে এসেও মানুষের মনে দেশপ্রেম জাগাতে গানের জুড়ি মেলা ভার। কাজের চাপ, পড়াশোনা প্রভৃতি থেকে কিছুটা ছুটি নিয়ে মানুষ মন ভালো করতে গান শোনে। এক্ষেত্রে গানের ভাষাটা আসল নয়। আসল হল সুর, তাল ও ছন্দ। এইসব যদি মানুষের মনকে স্পর্শ করতে পারে তবে যেকোনো ভাষার গানই মানুষ আগ্রহ নিয়ে শোনে। সম্প্রতি এমনই একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে ইউটিউবে।





গানটি হল “মানিকে মাগে হিতে”। এই গানটি সিংহলী ভাষায় গেয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী সাথীসান রথনায়কে ও ইয়োহানি দিলোকা। এই গানটির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন স্বয়ং বিগ বি। এই গানটির জন্য আলোচনায় উঠে এসেছে ইয়োহানি। চলুন আজ জেনে নেই ইয়োহানির ব্যাপারে কিছু তথ্য। 1993 সালে জন্মগ্রহণ করে ইয়োহানি।





তিনি না শুধু একজন গায়িকা তার পাশাপাশি তিনি একজন গীতিকার, সঙ্গীত প্রযোজক ও ব্যবসায়ী। এই “রাপ রাজকন্যা” ইউটিউব এর মাধ্যমে নিজের সংগীতের ক্যারিয়ার শুরু করেন। তার রাপ “দেবীয়াঙ্গে বারে” বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইয়োহানির বাবা সেনাবাহিনীর সাথে যুক্ত আছেন আর মা একজন বিমান সেবিকা।





সাইন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন ইয়োহানি। কিন্তু তার বেশি ঝোঁক ছিল লজিস্টিক ম্যানেজমেন্ট এর প্রতি। তিনি গানের জন্য একাধিক পুরস্কার জিতেছেন। প্রথম তিনি সুযোগ পান “পেটাহ এফেক্ট” নামে রেকর্ড লেভেলে। এরপর তাকে আর পিছে ফিরে তাকাতে হয়নি। ইয়োহানির গাওয়া এই গানটি বর্তমানে ভাইরাল সেন্সেশন হয়ে উঠেছে। আপনারা যদি এখনও এই গানটি শুনে না থাকেন তবে শুনে নিতে পারেন।।




