




গায়িকা সুনিধি চৌহান এর নাম দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষের মুখেই শোনা যায়। সুনিধি মাত্র 11 বছর বয়সে ফিল্মে প্রথম গান করার সুযোগ পান। চার বছর বয়স থেকেই সুনিধি এন্টারটেনমেন্ট জগতের সাথে যুক্ত আছেন। তিনি এক ইন্টারভিউতে জানিয়েছিলেন তার বাবা থিয়েটার করতেন, তাই ছোট থেকেই তার স্টেজ পারফরম্যান্স এর অভ্যাস ছিল। তিনি যখন প্রথম জাগরণে গান করেন তখন অনেকেরই মনে হয় তার অন্যান্য জায়গাতেও নিজের এই প্রতিভা দেখানো উচিত।





সুনিধি কেবল মাত্র হিন্দিতেই নয় বাংলা, অসমীয়া, নেপালি, কন্নড়, তেলেগু, তামিল, পাঞ্জাবি প্রভৃতি ভাষাতে গান গেয়েছেন। তিনি এই সকল ভাষা মিলিয়ে তিন হাজারের বেশি গান গেয়েছেন। বলিউডে আসার আগে সুনিধির গান অভিনেত্রী তাবাসসুম শুনেছিলেন। তখন এই অভিনেত্রী সুনিধির বাবা মাকে রাজি করান সুনিধি কে নিয়ে তার সাথে মুম্বাইতে যাওয়ার। মুম্বাই যাওয়ার পর দূরদর্শনের সিঙ্গিং রিয়েলিটি শো “মেরা আওয়াজ শুনো” তে সুনিধি অংশগ্রহণ করেন এবং প্রতিযোগিতাটি জিতে যান।





তার গান “রুকি রুকি সী জিন্দেগি” এর জন্য তাকে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়। সুনিধির প্রফেশনাল লাইফ ভালো চললেও পার্সোনাল লাইফ নিয়ে তাকে বির্তকের সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বলিউডে গান গাওয়ার সুযোগ পাওয়ার পর মাত্র 18 বছর বয়সে সুনিধি নিজের থেকে 14 বছরের বড় ডাইরেক্টর ববি খানকে বিয়ে করেন। প্রথম প্রথম সব ঠিকঠাক চললেও পরবর্তী সময়ে তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। ববি খানের সাথে ডিভোর্স এর 9 বছর পর সুনিধি মিউজিক কম্পোজার হিতেশ সৌনিককে বিয়ে করেন।





সুনিধির থেকে হিতেশ 14 বছরের বড়। কিন্তু ছোট থেকেই সুনিধি আর হিতেশ একে অপরকে চিনতেন। তাদের প্রায় পনেরো বছরের বন্ধুত্ব ছিল তাই তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। 2018 সালে তাদের এক সন্তান হয়। সাম্প্রতিক তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে একটি রিউমার শোনা যাচ্ছিল। যদিও এই রিউমারে ফুলস্টপ লাগিয়ে দেন হিতেশ। এক ইন্টারভিউতে সুনিধি জানান হিতেশ আর তার সম্পর্কে এমন কোনো স্থিতি কোনোদিন আসেনি আর তারা একে অপরের সাথে যথেষ্ট সুখেই আছেন। এই বলেই তিনি রিউমারটির ‘দি এন্ড’ করে দেন।।




