




টোকিও অলিম্পিক 2020 তে ভারতের ঝুলিতে প্রথম স্বর্ণপদক এনে দিলেন নীরাজ চোপরা। তিনি বল্লব ছোড়াতে স্বর্ণপদক জয় করেছেন। বল্লব ছোড়াতে এর আগে কোনো ভারতীয় স্বর্ণপদক জয় করতে পারেননি, নীরাজ চোপড়াই প্রথম। আজ ভারতের ঘরে ঘরে নীরাজ চোপড়ার নামে জয়জয়কার হচ্ছে। হবেনাই বা কেন মাত্র 23 বছর বয়সে নীরাজ বিদেশের মাটিতে ভারতের নাম উজ্জ্বল করেছেন। আজ নীরাজ নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। কিন্তু এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর পেছনে রয়েছে তার আত্মবিশ্বাস, ত্যাগ, সমর্পণ আর বলিদান।





নীরাজের এই জয়ে দেশের বড় বড় ব্যক্তিরা খুশিতে গদগদ হয়েছেন। সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ মানুষ সকলেই আজ নীরাজের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। বলে রাখি টোকিও অলিম্পিক 2020 তে পার্টিসিপেট করার জন্য নীরাজ বহু সময় ধরে প্র্যাকটিস করেছিলেন। নিজের পুরো ফোকাস টোকিও অলিম্পিকে রাখার জন্য ফোন পর্যন্ত বন্ধ রেখেছিলেন তিনি। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা থেকে বিরত রেখেছিলেন নিজেকে। নীরাজের স্বর্ণপদক জেতার পর তার কাকা জানান, নীরাজের বহুদিনের স্বপ্ন আজ পূরণ হয়েছে। তার প্রথম থেকেই দেশের জন্য স্বর্ণ পদক জেতা লক্ষ্য ছিল।





2016 সালের রিও অলিম্পিকে যাওয়ার সুযোগ পায়নি নীরাজ। কিন্তু তিনি জুনিয়ার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ পদক জিতে ছিলেন। নীরাজ এই কম্পিটিশনের জন্য প্রায় এক বছরের ওপর সময় নিজের ফোন বন্ধ রেখেছিলেন। এই সময় তিনি শুধুমাত্র তার মা সরোজ চোপরার সাথে ও বাড়ির লোকেদের সাথে কথা বলার জন্যই ফোন অন করতেন। কথা বলা হয়ে যাওয়ার পর ফোন আবার বন্ধ করে দিতেন। নীরাজের কাকা জানান তারা চেষ্টা করলেও নীরাজের সাথে কন্টাক্ট করতে পারতেন না। তিনি তার কম্পিটিশন নিয়ে সব সময় ব্যস্ত থাকতেন।





2019 সালে নীরাজের কনুইয়ের অপারেশন হয়। এই সময় তার চিন্তা ছিল যে টোকিও অলিম্পিক 2020 শুরু হওয়ার মধ্যে তিনি সুস্থ হতে পারবেন কিনা। যদিও কো’রো’না’র কারণে টোকিও অলিম্পিক 2020 পিছিয়ে দেওয়া হয়। এই সময়ে নীরাজ সুস্থ হয়ে যান এবং নিজের কম্পিটিশনের জন্যও পুরোদমে প্র্যাকটিস শুরু করে দেন। নীরাজের এই জয়ে তার মা সরোজ চোপরা ভীষণ খুশি হয়েছেন। তিনি জানান নীরাজের পছন্দের মিষ্টি তিনি নিজের হাতে বানিয়ে তার জন্য রেখেছেন। নীরাজের এই সাফল্যে আমরা তাকে সংবর্ধনা জানাই।।




