




স্থায়ী আমানতে ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে সুদের হার। তাই প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে মিউচুয়াল ফান্ডে ইনভেস্টমেন্ট। ইনভেস্টমেন্ট করার আগে জেনে নিন এই পাঁচটি বিষয়।





এনএভি- বিনিয়োগকারীরা সবথেকে বেশি যেই ভুলটা করে থাকেন তা হলো এনএভিতে বেশি রিটার্নের আশা রেখে তাতে বিনিয়োগ করা। কিন্তু এটি ঠিক নয়। এনএভির মূল্য নির্ধারণ করে বিনিয়োগকারীদের এসেটের উপর। আর যে মিউচুয়াল ফান্ড এত ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হয় সেখান থেকে রিটার্নের আশাও তত বেড়ে যায়। সুতরাং বুঝতেই পারছেন মিউচুয়াল ফান্ডের রক্ষনাবেক্ষনের উপর নির্ভর করে এনএভি ও রিটার্নের পরিমাণ।





ডিভিডেন্ট- অনেকেই মনে করেন মিউচুয়াল ফান্ডের ডিভিডেন্ট এর মাধ্যমে ঝড়ের গতিতে রোজগার করা সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে তা নয়। ডিভিডেন্ট সাধারণত মিউচুয়াল ফান্ডের এ ইউ এম থেকে কাটা হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী ডিভিডেন্ট এর টাকা থেকেও আবার এনএভি কাটা হয়। এছাড়াও ডিভিডেন্ট এর পরিমাণ নির্ভর করে মিউচুয়াল ফান্ডের ফেস ভ্যালুর উপর।





ইকুইটি ফান্ড- ইকুইটি ফান্ড কেবলমাত্র ইকুইটির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা সম্ভব। ডেভিডেড ফান্ড কেবলমাত্র স্থায়ী আয়ের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন বিষয় গুলির ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করে। আর হাইব্রিড ফান্ড উভয় ক্ষেত্রেই কার্যকরী। কিন্তু অনেকেই কেবলমাত্র ইকুইটি ফান্ডে বিনিয়োগ করেন। যা পুরোপুরি ভুল।





অতিরিক্ত টাকার বিনিয়োগ- অনেকেই মনে করেন মিউচুয়াল ফান্ডে প্রথমে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করলে বেশি লাভ হয়। কিন্তু ব্যাপার তা নয়। প্রথম দিকেই মিউচুয়াল ফান্ডে অতিরিক্ত টাকা বিনিয়োগ করার কোন প্রয়োজন নেই। 5000 থেকে 10000 টাকা বিনিয়োগই যথেষ্ট।





বাজার সংশোধন- বাজার সংশোধনের সময় বিনিয়োগ বন্ধ করে দিতে হয়। এরপর ফের বাজারের অবস্থা ঠিকঠাক হলে বিনিয়োগ করা যেতে পারে।।




