




গ্রাম্য পরিবেশে বনেদি কায়দায় রান্না করে অনেকেই ইউটিউবে ফেমাস হয়েছেন। এখন বাঙালি রান্না বাঙ্গালীদের রীতিতে খুব কমজনই করেন বা করতে পারেন। তাই এখন দর্শকরা মা ঠাকুমাদের আমলের, তাদের কায়দার রান্না দেখলে আর লোভ সামলাতে পারেন না সেই ভিডিও দেখা থেকে। বর্তমানে একটি ইউটিউব চ্যানেল নিয়ে শোরগোল পড়েছে নেট পাড়ায়। সেই ইউটিউব চ্যানেলের নাম “ইউনিক ভিলেজ ফুড”। নাম শুনেই মনে হয় গ্রাম্য পরিবেশে সেই মা ঠাকুমাদের মত রান্নার ভিডিও দেখা যাবে এই চ্যানেলে।





এই ভেবে অনেকেই যখন চ্যানেলটিতে দেখতে যান, পাঁচ মাসে মাত্র পাঁচটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে কিন্তু সাবস্ক্রাইবার ইতিমধ্যেই লাখের কাছে আবার ভিউজ এক একটি ভিডিওতে 10 লাখের কাছাকাছি। যারা এখনো ইউটিউব চ্যানেলটি দেখেননি তারা হয়তো ভাবছেন নিশ্চয়ই খুব ভালো রান্না দেখানো হয়। কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার হলো এই চ্যানেলে যে বা যারা রান্না করে তারা ভালো করে খুন্তিও নাড়াতে পারে না। এমনকি রান্নার পরপর স্টেপগুলো পর্যন্ত দেখানো হয় না। ইউটিউব চ্যানেলটিকে সম্প্রতি বাংলার বিখ্যাত ইউটিউব চ্যানেল “সিনেবাপ মৃন্ময়” চ্যানেলের মৃন্ময় রোস্ট করেছেন।





তিনি একের পর এক ভিডিও দেখে অবাক হয়েছেন। তিনি বলেছেন, “অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগছিল ভিডিও গুলোর মধ্যে এমন কি আছে যার জেরে এত কম সময়ে এত বেশি পরিমাণ ভিউ হচ্ছে? উত্তর হচ্ছে, কিছু নেই। না রয়েছে গ্যাসের চুল্লি তে আগুন। না রয়েছে স্টেপ বাই স্টেপ রান্নার পদ্ধতি বলা। না রয়েছে অঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ বস্ত্র। না রয়েছে বাংলায় ঠারকি দর্শকের অভাব।” একদম ঠিক ধরেছেন এই চ্যানেলের রান্নার ভিডিও গুলোতে রিম্পি বা পর্ণা নামে যারা রান্না করছিলেন তাদের পোশাক শোভনশীল ছিল না।





তাই অনেকেই মনে করছেন মেয়েদের এমন অশ্লীল পোশাক পরিয়ে ভিউজ কামাচ্ছে ইউটিউব চ্যানেলটি। আবার “পি.সি রায়ের নাতনি” ও বলেছেন মৃন্ময় রিম্পিকে। কারণ সে আগুন ছাড়া রান্না করে দেখিয়েছে। আবার তিনি তার দর্শকদের বলেছেন লং জাম্প বা হাই জাম্প সকলেই দেখেছে। কিন্তু “ইউনিক ভিলেজ ফুড” ইউটিউব চ্যানেলটিতে রান্নায় স্টেপ জাম্প দেখানো হয়েছে। এছাড়াও তিনি রিম্পি বা পর্ণা কে বাঙালির মিয়া খালিফা বলেছেন। সিনেবাপ মৃন্ময়ে’র করা এই ধরনের পাঞ্চ লাইন শুনে ভিউয়াররা ভীষণ মজা পেয়েছেন।





শুধুমাত্র সিনেবাপ মৃন্ময় নয় এই চ্যানেলটিকে বাংলার ছোট, বড়, মাঝারি ইউটিউবাররা রোস্ট করছেন। অনেক ছোট ইউটিউবারদের মনে এটাও প্রশ্ন জেগেছে যারা সত্যি সত্যি পরিশ্রম করছেন নিজের চ্যানেলের পেছনে তারা কিন্তু ভিউজ পাচ্ছে না। অথচ বিনোদনের নামে এই ধরনের অশ্লীল ভিডিওর ভিউজ অল্প সময়ে লাখের কাছাকাছি পৌঁছে যাচ্ছে। এতে হয়তো অনেক নতুন ইউটিউবাররা ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে এই একই পথ অবলম্বন করতে পারে। এই প্রসঙ্গে আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের জানান।।




