




সন্তানদের জীবনে বাবা-মায়ের বড় ভূমিকা রয়েছে। তারা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে দিনরাত চেষ্টা করে যাচ্ছে। এই পুরো পৃথিবীতে মা একমাত্র ব্যক্তি যিনি কোনো স্বার্থপরতা ছাড়াই তার সন্তানকে সাফল্যের পথে এগিয়ে যেতে এবং সাফল্যের উচ্চতায় পৌঁছাতে সাহায্য করেন। এইজন্য তারা তাদের আরাম কেউ ত্যাগ করেন। একজন মা সব ধরনের কষ্ট সহ্য করে তার সন্তানদের সকল সুযোগ-সুবিধা প্রদান করা যাতে তার সন্তানের কোনো প্রকার ঘাটতি থাকে এবং জীবনে এগিয়ে যেতে থাকে।





মাকে নিয়ে যাই বলা হোক না কেন তা খুবই কম। শিশুরা চাইলেও তাদের পিতামাতার ঋণ কোনদিন ও শোধ করতে পারে না। আজ আমরা আপনাকে এমন এক মা ও ছেলের কথা বলতে যাচ্ছি যে নিজের ছেলেদের সফল করার জন্য দিনরাত সেলাই করতেন। এইটা আনন্দের বিষয় যে সেই মায়ের দুই ছেলে লেখাপড়া করে একজন বড় কর্মকর্তা হয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। সুভাষ কুমাওয়াট রাজস্থানের ঝুনঝুন গ্রামের বাসিন্দা। তার স্ত্রীর নাম রাজেশ্বরী দেবী। তিনি তার স্বামীর সাথে সেলাইয়ের কাজ করে।





আরেকটি ছোট ছেলের দোকান আছে এবং সেলাই দোকান থেকে যে আয় হয় তাই দিয়ে তারা সংসার চালায়। তাদের দুই ছেলে আছে এবং তাদের নাম পঙ্কজ কুমাওয়াত এবং অমিত কুমাওয়াত। অমিত এবং পঙ্কজ দুইভাই আইআইটি দিল্লি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিটেক পাস করেছেন। অমিত এবং পংকজ দুজনেরই স্বপ্ন ছিল তারা সিভিল সার্ভিসে যাবেন কিন্তু এই স্বপ্ন পূরণ করা সহজ ছিল না কারণ তাদের বাড়ির অবস্থা খুব খারাপ থাকার কারণে তাদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়েছিল।





তাদের ছেলেদের স্বপ্ন পূরণের জন্য তার মা না ঘুমিয়ে সারাদিন সেলাইয়ের কাজ করতেন। তারা চেয়ে ছিলেন তাদের ছেলেরা বড় মানুষ হোক। এমন পরিস্থিতিতে আর্থিক সীমাবদ্ধতার পরিপ্রেক্ষিতে পুত্রদের শিক্ষিত করা খুবই কঠিন কাজ ছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও তিনি তার ছেলেদের লেখা পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় বই, ফি অন্যান্য সমস্ত জিনিস সরবরাহ করতেন যাতে তার ছেলেদের স্বপ্ন পূরণ হয় এবং তারা বড় মানুষ হতে পারে। অমিত এবং পঙ্কজ দুজনেই পড়াশোনায় খুব ভালো ছিলেন যার কারণে তাদের অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়নি।





পিতা-মাতার এহেন সংগ্রাম এবং ত্যাগ দেখে পঙ্কজ এবং অমিত দুইজনেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলেন যে তারা অবশ্যই তাদের এবং তাদের বাবা-মায়ের স্বপ্ন পূরণ করবেন এবং তাদেরকে গর্বিত করবেন। এই দুই ভাই কঠোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন এবং তাদের পরিশ্রমের ফলও তারা পান দুই ভাই ইউ পি এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন পঙ্কজ 443 তম এবং অমিত 600 তম স্থান পান। যখন তাদের বাবা-মা পঙ্কজ এবং অমিতের সাফল্যের কথা জানতে পারেন তখন তাদের সুখের সীমা ছিল না। তাদের চোখ থেকে খুশিতে জল বেরিয়ে আসে।।




