




পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের স্মিতা সভরবাল তেলেঙ্গানায় এক অফিসারের পদে কর্মরত। তিনি “পাবলিক অফিসার” নামেও খ্যাত। তিনি মনে করেন তার সর্বপ্রথম দায়িত্ব হচ্ছে সাধারণ মানুষের খেয়াল রাখা। দেশের সবথেকে অল্পবয়সি “আই এ এস” অফিসার এর খেতাব রয়েছে তার নামে। 19 শে জুন 1977 সালে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ে স্মিতার জন্ম হয়। তার বাবা আর্মিতে কর্তব্যরত ছিলেন আর মা একজন গৃহিনী। তার বাবা আর্মিতে কাজ করার কারণে তাকে বিভিন্ন জায়গায় থাকতে হয়েছে।





তবে তার বাবা যখন রিটায়ার করেন তখন তারা হায়দ্রাবাদে সেটেল হয়ে যান এবং সেখান থেকেই স্মিতা দ্বাদশ শ্রেণী পাস করেন এবং “আই এস সি” পরীক্ষায় টপ করেন। গ্রাজুয়েশন পাস করার পর থেকেই স্মিতা সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ নিতে থাকেন। প্রথমবারে তিনি মেন্সে সফলতা লাভ না করলেও 2002 সালে তিনি আবার “ইউ পি এস সি” পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।





সেইবার তিনি পুরো ভারতের চতুর্থ রাঙ্ক নিয়ে ভারতের প্রথম অল্প বয়সী মহিলা টপার হন। স্মিতা বিভিন্ন শহরে তার পোস্টিং এর সময় এমন অনেক প্রজেক্ট করেছেন যার কারণে সাধারণ মানুষ ভীষণ ভাবে উপকৃত হয়েছেন। তিনি “অম্মাললানা” নামেও একটি প্রকল্প শুরু করেছিলেন। সাধারণ মানুষের পাশে এইভাবে সর্বদা থাকার কারণে তাকে “প্রাইম মিনিস্টার এক্সেলেন্স” আওয়ার্ড দ্বারা সম্মানিত করা হয়।





নিজের কাজ নিয়ে সর্বদা সোশ্যাল মিডিয়ায় চর্চায় থাকেন স্মিতা। একবার স্মিতাকে নিয়ে এক বিতর্কের সৃষ্টি হয়। আসলে একটি ম্যাগাজিনে স্মিতার কার্টুন আঁকা হয় যেখানে দেখা যাচ্ছে যে স্মিতা রাম্পে হাঁটছেন এবং তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাও তার ছবি তুলছেন। এই কার্টুনের পিছনে বক্তব্যে ম্যাগাজিন লিখেছিলেন যে স্মিতা সবসময় ট্রেন্ডি পোশাক পরেন। এই ধরনের মন্তব্য ও কার্টুনের কারণে ম্যাগাজিনটির কাছে যথাযথ উত্তর চেয়ে নোটিশ পাঠান স্মিতা। যদিও পরে ম্যাগাজিনটি নিজেদের ভুল স্বীকার করে নেয়।




