




অনেকে ভাবেন রান্না একটি কলা। কথায় আছে “যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে”। আগের সময় মনে করা হতো যে মেয়ের হাতের রান্না সুস্বাদু সেই মেয়েই সফল গৃহিণী। ইউটিউবে রান্নার বিভিন্ন চ্যানেল আছে ভাত থেকে শুরু করে ডাল আবার বিরিয়ানি থেকে শুরু করে চিলি চিকেন সব রান্নাই ইউটিউব এ পেয়ে যাবেন। একই রান্নার একাধিক রেসিপিও পাবেন। যারা রান্না করতে ভালোবাসেন কিন্তু রেসিপি মনে থাকে না বা জানেন না তাদের জন্য ইউটিউবের এই সব ভিডিও হল মুশকিল আসান।





সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ভিডিও ভাইরাল হতেই থাকে। এবার একটি রান্নার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওটির স্পেশালিটি রান্না নয় বরং রাঁধুনির পোশাক। এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই অনেকেই ট্রোল করছেন রিম্পি কে। আবার অনেকেই মন্তব্য করছেন রিম্পি ভালোভাবে খুন্তি নাড়তেও জানে না শুধুমাত্র তার খোলামেলা পোশাক এর জন্যই তার ভিডিওতে এত ভিউজ। আলু পোস্ত, বেগুন ভর্তা, ডিমের কষা, টমেটো ভর্তা, ডিম কারি, টমেটোর চাটনি, মিষ্টি কুমড়া ভর্তা মাত্র এই ক’টি রান্নার ভিডিও রয়েছে “ইউনিক ভিলেজ ফুড” নামক ইউটিউব চ্যানেলটি তে।





মাত্র পাঁচ মাস আগে চ্যানেলটিতে ভিডিও আপলোড করা শুরু হয়। তিন সপ্তাহ আগে রিম্পি “আলুর পোস্ত” তৈরীর ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে। এই তিন সপ্তাহেই ভিউজ 6 লক্ষ ছাড়িয়েছে। এক সপ্তাহ আগে “টমেটোর চাটনি” তৈরির ভিডিও আপলোড করা হয় তাতে ইতিমধ্যেই 10 লক্ষ ভিউজ পড়ে গেছে। এত অল্প সময়ে কিভাবে ইউটিউব চ্যানেলটি গ্রো করল? এই প্রসঙ্গে অনেকেই জানিয়েছেন কেউই রেসিপি দেখতে ইউটিউব চ্যানেলেটিতে যায় না বরং খোলামেলা পোশাকে রান্নার বহর দেখতেই ইউটিউব চ্যানেলে ভিড় জমে।





ইতিমধ্যে “ভেগান অফ ওয়েস্টবেঙ্গল” ফেসবুক পেজ থেকে আলু পোস্ত রান্নার স্ক্রীনশট পোস্ট করা হয়। যেখানে তারা লিখেছেন আগে সাধারণত ননভেজ রেসিপিতে বেশি ভিউজ হতো কিন্তু ভেগানরা নিজেদের চেষ্টায় একটি ভেগান রেসিপি সর্বত্র ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এই পোস্টেও নেটিজেনরা নেগেটিভ মন্তব্য করেছেন। যদিও বরাবরই এই ফেসবুক পেজের পোষ্ট গুলোতে নেগেটিভ কমেন্টস চোখে পড়ে। কিন্তু এবার তার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। আপনাদের কি মনে হয় ইউটিউবে এই চ্যানেলটিতে ভিডিও দেখতে সবাই রান্নার জাদুতে যায় নাকি রূপের মোহে? আপনাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত আমাদের জানান।।




