




ভালো মানসিকতা নিয়ে কোনো কাজ করতে নামলে সেই কাজে সফলতা লাভ হবেই। আজ আমরা আপনাদের এমন এক অফিসারের কথা বলবো যিনি ডাক্তারি ছেড়ে সিভিল সার্ভিসের সেবায় নিয়োজিত হন। এই “আইএএস” অফিসার এর নাম রেনু রাজ। তিনি গরীব মানুষের সেবার জন্য সিভিল সার্ভিসের সাথে যুক্ত হন। আশ্চর্যজনক ঘটনা হলো তিনি রোজ মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টার প্রচেষ্টায় সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় টপ করেন।





এমনকি তিনি প্রথম চেষ্টাতেই সফলতা পান। আসুন জেনে নিই রেনু রাজের ব্যাপারে- রেনু রাজ একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। তার বাবা একটি সরকারি অফিসে কর্মরত ছিলেন এবং মা গৃহবধূ। রেনু তার বাকি দুই বোনের মতোই মেডিকেলের পড়া করেন। মেডিকেলের পড়া শেষ হওয়ার পর এক বছর তিনি ইন্টার্নশিপও করেন। সেই সময় তিনি দেখেন যে ডাক্তারি পেশার সাথে যুক্ত থাকলে তিনি দিনে 100 জন মানুষের সেবা করতে পারবেন,





কিন্তু যদি তিনি সিভিল সার্ভিসের সাথে যুক্ত হন তাহলে তিনি হাজার হাজার এমনকি লাখ লাখ মানুষের সাহায্য করতে পারবেন এই চিন্তা ভাবনা মাথায় নিয়েই তিনি সিভিল সার্ভিসের প্রস্তুতিতে লেগে পড়েন। 2014 সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি টপ করেন। এই পরীক্ষার প্রস্তুতি তিনি 2013 সাল থেকেই নেওয়া শুরু করেন। প্রতিদিন তিন থেকে ছয় ঘণ্টা ধরে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছেন। রেনু রাজ মনে করেন মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে গেলে শারীরিকভাবে সুস্থ থাকাও একান্ত প্রয়োজন।





তাই তিনি নিয়মিত যোগ ব্যায়াম করেন। 2014 সালে তিনি গোটা দেশে “ইউপিএসসি” পরীক্ষায় দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন। তার সঠিক রণনীতি এবং পরিশ্রম তাকে এই সফলতা পেতে সাহায্য করে। বর্তমানে তিনি কেরল কেডারে দায়িত্বরত আছেন। বেআইনিভাবে জমি কব্জা করার বিরুদ্ধে তিনি লড়াইও করেন। এই কারনে তার বহুবার বদলি হয়েছে। রেনু রাজ এল.এস ভগতকে বিয়ে করেন। যিনি বর্তমানে একজন ডাক্তার। রেনু রাজ মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের জন্য অনুপ্রেরণা।।




