




বলিউড জগতে যত তাড়াতাড়ি সম্পর্ক তৈরি হয় তার থেকেও তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বহু সম্পর্ক। প্রতিদিনই কোনো না কোনো তারকা’র সম্পর্ক শুরু হয় আবার কোনো কোনো তারকা’র সম্পর্ক শেষও হয়ে যায়। সালমান খানের ভাই আরবাজ খানের বিয়ে মালাইকা আরোরার সাথে হয়েছিল। তাদের সম্পর্ক দূর থেকে দেখলে মনে হতো তারা ভীষণ সুখে আছেন। কিন্তু ধীরে ধীরে মালাইকার এক্সট্রাম্যারিটাল আফেয়ার এর কথা সামনে আসতে থাকে। প্রথম প্রথম এই তারকা দম্পতি এইসব খবর কে ভুয়ো বললেও।





যখন আরবাজ আর মালাইকার ডিভোর্স হয়ে যায় তখন থেকেই ধীরে ধীরে এসব খোলাসা হতে থাকে। আগে সন্দেহ ছিল মালাইকা আর অর্জুন কাপুরের সম্পর্ক নিয়ে। কিন্তু ডিভোর্স হওয়ার পর থেকেই অর্জুন কাপুর আর মালাইকা আরোরাকে বহু পার্টি ও রেস্টুরেন্টে একসাথে দেখা যেতে লাগে। এমনকি বহুবার একে অপরের হাত ধরেও গাড়ি থেকে নামতে দেখা গেছে তাদের। এইসব জানাজানি হওয়ার পর থেকেই অর্জুন কাপুর আর মালাইকা আরোরার সম্পর্ক নিয়ে যেই ধোঁয়াশা ছিল তা কেটে গেছে।





যদিও এখনও মালাইকা আরোরা আর আরবাজ খান কে নিজেদের সন্তানদের সাথে একসাথে সময় কাটাতে দেখা যায়। অবশ্য এই নিয়ে আরবাজ খান কে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান তারা শুধুমাত্র তাদের সন্তানদের জন্যেই সময় কাটান। তারা চান তাদের সন্তানরা যতদিন আত্মনির্ভর না হয়ে উঠতে পারছে ততদিন তাদেরকে একসাথে গাইড করতে। আরবাজ খান কে এবার দেখা যাচ্ছে হোস্ট রূপে। ইতিমধ্যেই সালমান খানের সাথে তিনি “পিঞ্চ 2” এর লঞ্চ করেছেন। এই শো তারকাদের সাইবার বুলিং ও ট্রোলের ওপর শুট হচ্ছে। এই শো তে দেখা যেতে পারে আয়ুষ্মান খুরানা, ফারাহ খান এর মত তারকাদের।





আরবাজ খান কে এই শো-এর প্রিমিয়ারে যখন প্রশ্ন করা হয় তার কাছে বেস্ট হোস্ট কাকে মনে হয় তখন তিনি জানান করান জোহারকে তার সবথেকে বেস্ট হোস্ট মনে হয়। আরবাজ খান কে নিয়ে যে সমস্ত ট্রোল করা হয় সেই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান এই ধরনের ট্রোল তাকে পিঞ্চ করতে পারেনা। তার কাজ নিয়ে সমালোচনা করার অধিকার সকলের রয়েছে। তাই এই নিয়ে তিনি ভাবেন না। কিন্তু যখন তার পরিবারের কাউকে নিয়ে কোনো খারাপ মন্তব্য করা হয় বা তার সন্তানদেরকে টার্গেট করা হয় তখন তার কষ্ট হয় এবং এগুলোই তাকে বেশি পিঞ্চ করে।





তার কাছে তার ফাদার হুডের জার্নি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান তাদের মা আজও রাত জেগে তাদের জন্য অপেক্ষা করেন। তিনি একটি উদাহরণ দিয়ে বলেন যখনই সালমান খানের বাড়ি ফিরতে রাত হয় তাদের মা সারারাত জেগে অপেক্ষা করেন। তার মনের মধ্যে সবসময় চলে সালমান খান কিছু খেয়েছেন কিনা বা ভালোভাবে বাড়ি ফিরছেন কিনা। এই প্রসঙ্গ তুলে আরবাজ খান বলেন সন্তানের বয়স 18 হোক বা 80 বাবা-মায়ের কাছের সব সময় তারা ছোটই থাকে। তাই তিনিও তার সন্তানদের নিয়ে যথেষ্ট চিন্তায় থাকেন আর তাদের পথপ্রদর্শক হওয়ার চেষ্টা করেন।।




