




যৌতুক নেওয়া এবং দেওয়া উভয়ই ভারতে অবৈধ। তবে তা সত্ত্বেও দেশের অনেক জায়গায় যৌতুকের রীতি অব্যাহত রয়েছে। কেউ প্রকাশ্যে দাবি করে আবার কেউ কেউ অপ্রত্যক্ষভাবে এর জন্য দাবি করে। একই সময় এমন কেউ আছেন যারা যৌতুকের দাবি মক্ষম সময় রাখেন। এমন পরিস্থিতিতে অপবাদের ভয় মেয়ের বাবা বাধ্য হয়ে তাদের দাবি পূরণ করে। তবে প্রতিটি মানুষ এক রকম হয় না। এমন অনেক ভালো মানুষ আছেন যারা মোটেও যৌতুক নেন না এবং শুধু তাই নয় তারা তাদের বাড়ির পুত্রবধূকে কন্যার মতনই ভালোবাসা দেয়। আজকাল অনেকেই কন্যাকে বোঝা মনে করেন।





তবে আজ আমরা আপনাকে এমন একটি পরিবারের সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো যারা তাদের পুত্রবধূকে তাদের মেয়ে হিসেবে বিবেচনা করে। পুত্রবধূর কাছ থেকে যৌতুকের কিছুই নেন নি তারা। শুধু তাই নয় পুত্রবধূর বিদায়ীতে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে হেলিকপ্টার বুক করেছেন তারা। আমরা যে পরিবারটির কথা এখানে বলছি তারা হরিয়ানার পানিপটে থাকে। আসলে মুনীশের বাবা মা জিন্দের নারোয়ানার বাসিন্দা মনিকার সাথে তাদের ছেলের বিয়ে ঠিক করেছিল। এই বিয়েতে ছেলেদের পক্ষ থেকে যৌতুকের কিছুই না হয়নি বিয়েতে।





শুধু তাই নয় ছেলের পরিবার তাদের ছেলের বিদায়ের ব্যাপারটি হেলিকপ্টারে করে অনন্য উপায় করেছেন। মায়ের স্বপ্ন পূরণের জন্য ছেলের পরিবার এই কাজটি করেছেন। তার মায়ের ইচ্ছা ছিল যে তার পুত্রবধু হেলিকপ্টার করে বাড়িতে আসবে। তাই মুনীশ মায়ের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে হেলিকপ্টার বুক করেছিল। মুনীশের বাবা রামকুমার প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। তিনি তার বড় দুই ছেলের বিয়ে দিয়েছেন এবং এতে তিনি কোন যৌতুক নেন নি।





তার মেয়েও বিবাহিত তিনি তার বিয়েতেও কোন যৌতুক দেননি। রামকুমার সমাজের কাছে আবেদন জানিয়েছে এবং বলেছেন যে, “আপনারা পুত্র-কন্যার মধ্যে কোন পার্থক্য করবেন।” উভয়ের সাথে সমান আচরণ করবেন। আমাদের উচিত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও এর স্বপ্নটা পূরণ করা। আসুন আপনাদের জানিয়ে দেওয়া যাক মুনিশ হলেন সাবেক পানিপথ কাউন্সিলর রামকুমার এর কনিষ্ঠ পুত্র এবং বর্তমান কাউন্সিলর কোমলের ভগ্নিপতি। যাইহোক এই অনন্য বিবাহ সম্পর্কে আপনার মতামত কি?




