




বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে পুত্র সন্তান হোক বা কন্যা সন্তান সঠিক পরিবেশ ও সুযোগ দিলে সকলেই বংশের নাম উজ্জ্বল করতে পারে। কিন্তু এখনও অনেকে কন্যা সন্তানকে বোঝা মনে করে। তাই জন্মের আগেই লিঙ্গ নির্ধারণ করে কন্যা সন্তানকে ভ্রুণ রূপেই হত্যা করার চেষ্টা অনেকেই করে থাকেন। যদিও এখন সরকারের হস্তক্ষেপে এই ভ্রুণ হত্যা অনেকটাই কমেছে।





কিন্তু তাও অনেক সময় শোনা যায় কন্যা সন্তান হওয়ায় সন্তানকে হসপিটালে রেখেই বাড়ির লোক চলে যায় আবার অনেকে দিয়ে দেয় অনাথ আশ্রমে। যাঁরা কোনো কারণবশত এইসব করতে পারেন না তাঁরা কন্যাসন্তানটিকে যত দ্রুত সম্ভব বিয়ে দিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এই একুশ শতাব্দীতে এসে দাঁড়িয়েও দেখা যায় শুধুমাত্র মেয়ে হওয়ার অপরাধে তার সব স্বপ্নকে গলাটিপে হত্যা করে তুলে দেওয়া হয় অন্য একটি পরিবারের হাতে।





তারপর সন্তান বাঁচল কি মরল সেই নিয়ে কেউই আর মাথা ঘামায় না। সমাজের যেখানে এমন অবস্থা সেখানে আজ আমরা আপনাদের এমন এক ঘটনা বলবো যা জেনে আপনারা অবাক হতে বাধ্য। ভারতের নগৌর জেলায় মদনলাল প্রজাপত পুত্রবধূ কন্যা সন্তান জন্ম দেওয়ার হেলিকপ্টার পাঠিয়ে বৌমা ও নাতনি কে বাড়িতে আনার ব্যবস্থা করেন। হনুমান প্রজাপতের স্ত্রী চুকি দেবী গত 3 রা মার্চ নগৌর জেলা হাসপাতালে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরই তিনি তাঁর বাপের বাড়ি চলে যান।





তাঁর বাবার বাড়ি হারসোলাভ গ্রাম থেকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি 45 কিলোমিটার দূরে। চুকি দেবীর শশুর নাতনিকে দেখার লোভ সামলাতে না পেরে হেলিকপ্টার পাঠিয়ে দেন বৌমার বাপের বাড়ি। হনুমান প্রজাপত জানান প্রায় 35 বছর পর তাঁদের বংশে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। তাঁদের সন্তান তাঁর পরিবারের কাছে কতটা আপন ও গুরুত্বপূর্ণ তা বোঝাতে মূলত তাঁর বাবা হেলিকপ্টার পাঠান। তিনি আরও জানান তাঁর কন্যা সন্তানের জন্মের জন্যই তাঁর বাবা এই বিশেষ বন্দোবস্ত করেছেন। আমরা চুকি দেবী ও তাঁর মেয়ের দীর্ঘায়ু কামনা করি।।




