




প্রতিটি মানুষের জীবনেই আপ এন্ড ডাউন থাকে। অনেক সময় আমরা দেখি কোনো মানুষ তার পরিশ্রমের দ্বারা সফলতা লাভের শিখরে উঠতে থাকে আবার অনেক সময় দেখি হঠাৎ করেই অনেক বড় বিজনেসম্যান হয়ে যায় পথের ভিখারী। জীবন এমনই অনিশ্চিত। আমরা পথের ধারে অনেক ভিখারি দেখেই থাকি, কিন্তু যাদের দেখে আমরা ভিখারি ভাবি তাদের মধ্যে সবাই হয়তো জন্মগতভাবেই ভিখারী হয় না। আজ আমরা মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রের একটি ঘটনা আপনাদের জানাবো।





এই ঘটনা জেনে হয়ত আপনারাও অবাক হতে পারেন। একজন ডিএসপি পথের ধারের এক ভিখারি কে সাহায্য করতে গেলে জানতে পারেন তিনি সাধারণ কোনো ভিখারি নন, তিনি তারই ব্যাচের একজন অফিসার। গতবছর মধ্যপ্রদেশে ভোটের সময় ডিএসপি রত্নেশ সিং তোমর ও বিজয় সিং ভাদৌরিয়া ডিউটি শেষে ফেরার সময় পথের ধারে এক ভিখারিকে ঠাণ্ডায় কাঁপতে দেখেন এবং তার সাথে কথা বলার জন্য তারা সেই ভিখারির কাছে যায়। তারা সেই ভিখারিকে যথাসাধ্য সাহায্যও করেন সেই মুহূর্তে।





এরপর তারা যখন সেই ভিখারিটির সাথে কথা বলছিলেন তখন তারা জানতে পারেন ভিখারিটি ডিএসপি রত্নেশ সিং এর ব্যাচমেট। ভিখারি মনিশ মিশ্রা একজন পুলিশ অফিসার এবং এর সাথে সাথে নিশানা লাগাতেও খুব দক্ষ ছিলেন তিনি। 2005 সাল পর্যন্ত মনিশ পুলিশের চাকরি করেন। সেই সময় থেকেই ধীরে ধীরে তার মানসিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তার পরিবার তাকে যেখানে যেখানে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন সেইসব জায়গা থেকে তিনি পালিয়ে যান।





শেষে তো তার পরিবারও জানতে পারেনি মনিশ আসলে আছেন কোথায়। মনিশের মানসিক স্থিতির অবনতির পর তার স্ত্রী তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন। প্রায় 10 বছর মনিশ ভিখারির জীবন যাপন করেন। মনিশের এইসব কথা শুনে তারা খুবই কষ্ট পান। তারা তাকে সাথে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু মনিশ রাজি হন না। এরপর তারা উপায় না পেয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেয় মনিশ কে। সূত্র অনুযায়ী মনীশের পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেই সরকারি কাজের সাথে যুক্ত। এমনকি তার প্রাক্তন স্ত্রীও ন্যায়িক বিভাগে কর্মরত।।




