




এমন অনেক ব্যক্তি আছে যাঁরা জীবনে সকল সুযোগ-সুবিধা পেয়েও সফলতা লাভ করতে পারেন না। আবার অনেকে এমনও আছে যাঁরা প্রতিটি সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতাকে জিতে সফলতার শিখরে গিয়ে পৌঁছায়। আজ আমরা আপনাকে এমন একজন মানুষের কথা বলব যিনি কোনো রকমের কোনো কোচিং এ ভর্তি না হয়ে শুধুমাত্র সেল্ফ স্টাডিজ এর উপর নির্ভর করে “ইউপিএস” এর মতো কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে “আইএএস” অফিসার হন।





উত্তরাখণ্ডের ঋষিকেশ এর নমামি বানসাল “এন ডি এস গুমানিবালা” থেকে তিনি দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষা দেন। দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় 93% ও দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় 95% মার্কস পেয়ে পাস করেন তিনি। এত ভালো মার্কস পেয়ে তিনি না শুধু নিজের পরিবারের নাম উজ্জ্বল করেছেন, তার পাশাপাশি নিজের স্কুল কেও গর্বিত করেছেন। নমামির বাবা রাজকুমার বানসাল এর একটি মাত্র বাসনের দোকান আছে। তাঁদের আয়ের একমাত্র উৎস সেই বাসনের দোকানটি।





রাজকুমার বাবু যখন নমামির “ইউপিএসসি” পরীক্ষা পাস করে “আই এ এস অফিসার” হওয়ার খবর পান তখন তিনি ভীষণ খুশি হয়েছিলেন। ইউনিভার্সিটি টপার নমামি 2017 সালে রাজ্যপালের কাছ থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেন। এরপর তিনি “ইউপিএসসি” পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন। তিনি জানান তিনি কোনো কোচিং এ ভর্তি হন নি বরং সেল্ফ স্টাডিজ এর সাহায্যে “ইউপিএসসি”র মত বড় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। তিনি আরও বলেন যে, তিনি ইন্টারনেট থেকে সব রকমের স্টাডি মেটেরিয়াল সংগ্রহ করতেন।





সেই মেটেরিয়াল থেকেই তিনি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। নমামির মা সরিতা বানসাল জানান নমামি পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার পাশাপাশি তাঁকে ঘরের বিভিন্ন কাজেও সাহায্য করতেন। তাঁর মেয়ের এই সফলতায় তিনি ভীষণ খুশি হয়েছেন বলে জানান। তিনি আরও জানান তাঁদের মেয়ের “আইএএস অফিসার” হওয়ার মুহূর্ত তাঁদের জীবনের সবথেকে দামি মুহূর্তের মধ্যে অন্যতম। শুধুমাত্র self-study দিয়েও যে এত বড় পরীক্ষায় পাস করা যায় তা নমামি প্রমাণ করে দিলেন। আমরা তাঁর এই পরিশ্রমের প্রশংসা করি।।




