




বলিউড ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম বিখ্যাত অভিনেত্রী হলেন ঐশ্বর্য রায় বচ্চন। খুব কম মানুষই হবে যারা ঐশ্বর্যের রূপে মুগ্ধ হন নি। ঐশ্বর্যর সৌন্দর্যের চর্চা দেশেই নয় বিদেশেও শোনা যায়। তার অ্যাটিটিউডেও মুগ্ধ মানুষ। বর্তমানে ঐশ্বর্য রায় বচ্চন অভিষেক বচ্চন এর স্ত্রী। কিন্তু তার আগে ঐশ্বর্য্যের নাম জড়িয়েছিল সালমান খানের সাথে। তাদের সম্পর্কের জেরে অনেক কন্ট্রোভার্সিও সেই সময়ে ডানা মেলে ছিল।





যার জের সহ্য করতে হয়েছিল বিবেক ওবেরয় কেও। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে আসার পর সালমান খান-ই ঐশ্বর্য রায়ের প্রথম বয়ফ্রেন্ড ছিলেন না। 1994 সালে ঐশ্বর্য মিস ওয়ার্ল্ড হন। মূলত এরপর থেকেই তার কাছে ফিল্মের অফার আসতে থাকে। কিন্তু শোনা যায় ঐশ্বর্য এর আগে মডেলিং করতেন। নব্বইয়ের দশকে রাজিব মুলচান্দানি ছিলেন খুবই বিখ্যাত একজন মডেল। জানা যায় তৎকালীন সময়ে মডেলিং ক্যারিয়ারে তার সাহায্য ছাড়া কেউই উন্নতি করতে পারতেন না।





কিন্তু ঐশ্বর্য মডেলিং এর তুলনায় ফিল্মের প্রতি বেশি ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন। তিনি “অর পেয়ার হো গেয়া” এর মতো সিনেমা তে অভিনয়ও করেন। কিন্তু সেই সময় তার পরপর কয়েকটি সিনেমা ফ্লপ হয়ে যাওয়ায় তাকে ফ্লপ হিরোইন দের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। ঐশ্বর্য না শুধু নিজের অ্যাক্টিং এর জন্য চর্চায় থাকতেন, তার পাশাপাশি নিজের পার্সোনাল লাইফ নিয়েও চর্চায় ছিলেন।





যে সময় ঐশ্বর্য্যের ফিল্ম ফ্লপ হওয়া শুরু হয় সেই সময় মনীষা কৈরালা তার ক্যারিয়ারের শীর্ষে ছিলেন। রাজিব মুলচান্দানি না শুধু ঐশ্বর্য্যের বয়ফ্রেন্ড ছিলেন, তার নাম জড়িয়েছিল মনীষা কৈরালার সাথেও। এক ইন্টারভিউতে ঐশ্বর্য তার আর মনীষা কৈরালার মধ্যে যে বিবাদের সৃষ্টি হয়েছিল তা সম্পর্কে সবকিছু স্পষ্ট করে জানিয়েছিলেন। তৎকালীন সময়ে মনীষা কৈরালাও একটি ইন্টারভিউ তে জানিয়েছিলেন রাজিব মুলচান্দানি তার জন্যেই ঐশ্বর্যকে ছেড়েছিলেন।





এই ধরনের মন্তব্য সেই সময় ঐশ্বর্যকে মানসিকভাবে ভেঙে দিতে থাকে। একেতো ক্যারিয়ারের শুরুতেই পরপর তার সব ফ্লিম ফ্লপ হতে থাকে, তার মধ্যে এই ধরনের বিতর্ক। এইসব কারণ তাকে রাতে ঘুমাতে দিত না। ঐশ্বর্য জানান এমন কোনো রাত ছিল না যখন তাকে চোখের জল ফেলে ঘুমাতে যেতে হয়নি। যদিও মনীষা কৈরালার সাথে রাজিব মুলচান্দানির দু মাসের বেশি সম্পর্ক টেকেনি।





সেই সময় ঐশ্বর্য মন্তব্য করেছিলেন যে মনীষা কৈরালা প্রতিমাসেই বয়ফ্রেন্ড চেঞ্জ করেন। এই নিয়ে তৎকালীন সময়ে ঐশ্বর্য ও মনীষার মধ্যে বাদ বিবাদের সৃষ্টি হয়। এরপর ঐশ্বর্যের সিনেমা হিট হওয়া শুরু হয় ও ইন্ডাস্ট্রিতে তার সময় বদলাতে থাকে। এরপরের ঘটনা তো সবার জানাই। আজ এইসব বির্তকের থেকে ঐশ্বর্য সহস্র হাত দূরে থাকেন। কিন্তু একটা সময়ে বিতর্ক যেন পথ খুঁজে ঐশ্বর্যের কাছে গিয়েই পৌছাতো। এই প্রসঙ্গে আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের জানাতে পারেন।।




