




মানুষ যদি লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য পরিশ্রম করে তবে সে ঠিক একদিন তার লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে। রাজস্থানের যোধপুর এর বাসিন্দা আশা কান্ডারা 2018 সালে “আর এ এস” এর পরীক্ষা দেন। এই পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ পায় কিছুদিন আগেই। এই পরীক্ষায় সফল হওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে আশা কান্ডারা ছিলেন একজন। এরপর তিনি নিযুক্ত হবেন এসডিএম পদে। এই পথ আশার জন্য মোটেও সহজ ছিল না।





আট বছর আগে তার আর তার স্বামীর ডিভোর্স হয়ে যাওয়ায় তার দুই বাচ্চার পুরো দায়িত্ব তার ওপরেই ছিল। 2016 সালে তিনি “এসএসসি”র জন্য প্রিপারেশন নিতে শুরু করেন। এর পাশাপাশি তিনি অন্যান্য সরকারি পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপও করতেন। যাতে কোনো না কোনো ফিল্ডে তার একটা চাকরি হয়ে যায়। এই সময় 2018 সালে আশা যোধপুর নগর নিগম এর সাফাই কর্মী পদে নিয়োগ হন। যদিও তার পদ পার্মানেন্ট ছিলনা। কিন্তু “আর এ এস” এর প্রিপারেশন নেওয়ার পাশাপাশি নিজের কাজকে পার্মনেন্ট করার লড়াইও লড়তে থাকেন আশা।





2018 সালে আশা আর এ এস এর মেন্স এর পরীক্ষা দেন। দু’বছর ধরে লড়াইয়ের পর তার নগর নিগমের সাফাই কর্মী পদ পার্মানেন্ট হয়। এর কিছুদিন পরই “আর এ এস” পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশিত হয় এবং জানা যায় ট্রেনিং শেষে আশা “এসডিএম” পদে নিযুক্ত হবেন। পরিবারের দেখাশোনা করা, সাফাইকর্মীর কাজ করা এবং তার পাশাপাশি পড়াশোনা এই সব সামলিয়ে চলা আশার পক্ষে সহজ ছিল না। বিশেষ করে 8 ঘন্টা ডিউটির পর পড়াশোনা করতে তার খুব অসুবিধা হতো।





এই কারণে আশা নিজের সাথে বই নিয়েই যেতেন। যাতে যখনই একটু ফাঁকা সময় পান কিছুটা হলেও পড়ে নিতে পারেন। ট্রেনিং এর পর “এসডিএম” পদ আশা নিযুক্ত হলেও তিনি “আইএএস” অফিসার হতে চান। তাই তিনি জানান যে “এসডিএম” এর পদ সামলানোর পাশাপাশি তিনি “আই এ এস” অফিসার হওয়ার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যাবেন আশা কান্ডারা। তার এই অদম্য ইচ্ছা ও কিছু করে দেখানোর জেদ বহু যুবক যুবতীর অনুপ্রেরণা। যারা সব সুযোগ সুবিধা পেয়েও, আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল হয়েও জীবনে কিছু করতে চায় না তাদের অবশ্যই আশার মতো মানুষদের থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।।




