




আজও অনেক মহিলাকে তাদের পিরিয়ডের সময় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। সময় বদলেছে, এখন অনেক ধরনের স্যানিটারি ন্যাপকিন বাজারে এভেইলেবল। কিন্তু কোন ন্যাপকিন তাদের জন্য ভালো এবং পরিবেশ বান্ধব তা এখনও তারা জানেনা। এমনই সমস্যার সমাধান করতে মুম্বাইয়ের বাসিন্দা সুজাতা পবার রিইউজেবল এবং অর্গানিক স্যানিটারী ন্যাপকিন বানানো শুরু করেন।





2020 সাল থেকে তিনি এই স্যানিটারি নাপকিন বানানো শুরু করেন। মাত্র কয়েক মাসেই তার এই বিজনেস সফলতা পায়। ভারত সহ নেপাল, সিঙ্গাপুর অনেক জায়গায় সাপ্লাই করেন এই ন্যাপকিন। সুজাতা বি ফার্ম এর পাশাপাশি এমবিএ ও করেছেন। তার মেডিকেল ফিল্ডে ভালো এক্সপেরিয়েন্স এর কারণে এই বিজনেস শুরু করার কথা ভাবেন।





তিনি বলেন মার্কেটে বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যালযুক্ত প্যাড পাওয়া যায়, যেগুলো মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভালো নয়। তাই তিনি লকডাউন এর সময় প্যাড নিয়ে রিসার্চ করেন। এরপর তিনি কটনের ব্যবহারে প্যাড তৈরি করেন। যা তিনি নিজে ব্যবহার করেন এবং আত্মীয়দের কেও দেন। এই প্যাডের যে সমস্ত সমস্যা সামনে আসছিল সেগুলোর সমাধান করার জন্য তিনি আবার রিসার্চ করেন।





এই কাজের প্রতি তার ভালো লাগা শুরু হয়। এরপর তিনি এক ডিজাইনিং পার্টনারের সাথে টাইআপ করেন এবং 2020 সালে “অবনী” নামে কোম্পানি শুরু করেন। প্রথম চার মাস তিনি তার বাড়ি থেকেই এই কাজ করেন কিন্তু গ্রাহকদের ডিমান্ড বাড়ার জন্য তাকে কম্পানি শুরু করতে হয় এবং 30 জনকে কাজে রাখতে হয়। তিনি তার প্রোডাক্টের মার্কেটিং এর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করেন।





সুজাতা বিভিন্ন হেলথ ব্লগার ও সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার্স দের তার প্রোডাক্ট পাঠান। তাদের সেই প্রোডাক্ট ব্যবহার করে ভালো লাগলে তারাও নিজেদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ভালো রিভিউ দেন। বর্তমানে সুজাতা তার প্রোডাক্টের সেল অনলাইনেই করেন। ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন এর মত নামকরা অ্যাপ এ তিনি তার প্রোডাক্ট সেল করেন।





সুজাতার তৈরি অর্গানিক কটন প্যাড তিন লেয়ারের তৈরি। যার দাম 200 টাকা। সুজাতার তৈরি দ্বিতীয় প্রোডাক্ট হল ডিসপোজেবল প্যাড, যার দাম মাত্র 10 টাকা এবং এই প্রোডাক্টটি পরিবেশবান্ধব। তার তৈরি তৃতীয় প্রোডাক্টটি হল মেনস্ট্রুয়াল কাপ। যা সিলিকন দিয়ে তৈরি। এই প্রোডাক্টটি ব্লাড শুকানোর বদলে কালেক্ট করে। এই প্রোডাক্টটি চার বছর ব্যবহার করা যায়। আপনি যদি চান আপনিও এই ধরনের কোনও প্রোডাক্ট তৈরি করে মার্কেটিং করতে পারেন। মার্কেটিং এর জন্য বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়া এক উন্নততম দৃষ্টান্ত।।




