




খাবারের স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজ, রসুন, আদা এসবের ব্যবহার হয়ে থাকে। প্রতিদিনই এসব আমাদের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের জানা নেই কিভাবে দীর্ঘ সময়ের জন্য এই দ্রব্যগুলো কে স্টোর করা যায়। এই অসুবিধা থেকে বাঁচাতে উত্তরপ্রদেশের মুরাদাবাদ জেলার বাসিন্দা অনুভব ভাটনাগার হোমমেড প্রিজারভেটিভ ফ্রী মসলা বানানো শুরু করেন।





সারা দেশে তিনি এখন এক ডজনের বেশি প্রোডাক্ট মার্কেটিং করেন যে কারণে আজ তার টার্নওভার 35 লাখের বেশি। অনুভবের বাবা আর্মি অফিসার হওয়ার কারণে তাঁর পড়াশোনা বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে। 2012 সালে ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে হায়দ্রাবাদের একটি কোম্পানিতে দেড় বছর চাকরি করেন এরপর সেই চাকরি ছেড়ে জামশেদপুরের এক্সএলআরএল থেকে ডিপ্লোমা করার পর হায়দ্রাবাদে ফিরে যান।





চাকরি করা কালীন অনুভব নিজেই রান্না করতেন। সে সময় তাঁর মনে প্রশ্ন আসত কিভাবে কোনরকম কেমিক্যাল ব্যবহার না করে মশলা বেশি সময়ের জন্য টেকসই করা যায়। এই নিয়ে ভাবতে ভাবতে একদিন তিনি CFTRI এর সাথে কন্টাক্ট করেন। তিনি জানতে পারেন ডিহাইড্রেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মসলা কে বেশি সময়ের জন্য স্টোর করা যায়। এই প্রক্রিয়ায় গ্রামে পাপড়,





আচার প্রভৃতি বেশিদিন স্টোর কোরে রাখা হয়। এই আইডিয়া থেকে তাঁর মনে নতুন স্টার্টাপের ইচ্ছে জাগে। তিনি তাঁর বন্ধুদের জানালে সকলেই বলে এই স্টার্টআপ ভালো চলবে। অনুভব গ্রাইন্ডার মেশিন আর ওভেনের সাহায্যে রসুন, পেঁয়াজ প্রভৃতির ডিহাইড্রেশন করে মশলা বানিয়ে স্টোর করা শুরু করেন। তিনি এতে কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করেন না।





এই সব মশলা তিনি তাঁর বন্ধুদের কে দেন এবং সোশ্যাল মিডিয়াতেও পোস্ট করেন। অনুভব জানান তিনি না কেবল মসলা তৈরিতে কাজ করেছেন সেই সব মসলার মার্কেটিংয়ের সমানভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। মার্কেটিং কে ভালভাবে বোঝার পর তিনি 2020 সালে Zilli’s নামে নিজের কোম্পানি কে রেজিস্টার করেন। কিন্তু লকডাউন এর কারণে প্রায় দুমাস তাঁর কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর জুন মাসে তিনি কমার্শিয়াল মার্কেটিং শুরু করেন।





নিজের কোম্পানির ওয়েবসাইট বানিয়ে সেখানেই মশলা বিক্রি করা শুরু করেন। এরপর অনুভবের তৈরি মসলা প্রায় 12 হাজার কাস্টমারের কাছে পৌঁছে যায়। গত এক বছরে যে কারণে তাঁর লাভ প্রায় 35 লক্ষে পৌঁছে যায়। অনুভব প্রথমদিকে বাড়িতেই মসলা তৈরি করলেও বর্তমানে তিনি মেশিনের ব্যবহার করেন। তিনি জানান যেসব বড় বড় মেশিনের দাম বেশি সেগুলো তারা ভাড়া করেন। প্রথমে পেঁয়াজ, রসুন, আদা এসব সূর্যের আলোয় শুকিয়ে নেন।





তারপর মেশিনের ব্যবহারে ভালোভাবে ডিহাইড্রেট করার পর গ্রাইন্ডার এর সাহায্যে ভালো করে গুড়ো করেন। এরপর সেসব বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেন। অনুভব 13 রকমের মশলা বিক্রি করেন। যার মধ্যে আছে গার্লিক পাউডার, অনিঅন পাউডার, জিনজার পাউডার, চিলি পাউডার প্রভৃতি। অনুভব না শুধু নিজের উপার্জন বৃদ্ধিতে কাজ করেছেন তিনি আরও 5 জন ব্যক্তিকে কাজও দিয়েছেন তারা মার্কেটিং ও প্যাকেজিং উভয় দিকেই কাজ করছে।।




