




টলিউডের বিতর্কে নুসরাতের নাম বহুদিন ধরেই জড়িয়ে আছে। 2019 সালে তুর্কিতে এক ডেস্টিনেশন ওয়েডিং এর মাধ্যমে তিনি নিখিল জৈন কে বিয়ে করেন। কিন্তু গত এক বছর ধরে তিনি তার স্বামীর সাথে ঘর করছেন না। তার নাম আবার অভিনেতা যশ এর সাথেও জড়িয়েছে। নুসরাত এর ভাইরাল হওয়া এক ছবিতে বোঝা যায় তিনি মা হতে চলেছেন।





স্বভাবতই তার অনুরাগীরা নুসরাত ও নিখিলকে কংগ্রাচুলেশন করেন। কিন্তু বির্তকের সৃষ্টি হয় নিখিল জৈন এর করা মন্তব্যে। নিখিল জৈন জানায় এই বাচ্চার বাবা তিনি নন। এরপরই সন্দেহ করা হয় অভিনেতা যশকে। কিন্তু এক ভিডিওর মাধ্যমে অভিনেতা যশ পরিষ্কার করে দেন যে তার আর নুসরাত এর মধ্যে এমন কোন সম্পর্ক ছিল না যার দৌলতে নুসরাতের বাচ্চার বাবা তিনি হতে পারেন।





নিখিলের করা মন্তব্যের পর নুসরাত জানান নিখিল আর তার কোনদিন বিয়েই হয়নি তারা আসলে সহবাসে ছিলেন। নুসরাতের এরূপ মন্তব্যে অনেকেই বলেছেন একজন সাংসদ তাহলে কিভাবে নিজের বায়োডাটাতে নিজেকে বিবাহিতা বলে দাবি করতে পারেন। তাহলে তো সরাসরি এটা জনগণকে ঠকানো হচ্ছে। এই রকমের বহু বিতর্ক অনেকদিন ধরেই নুসরাত কে ঘিরে চলে আসছে।





এবার সেই বিতর্কে আগুনে ঘি করার মতোই নুসরাত একটি ছবি তার ইনস্টাগ্রামে আপলোড করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটি কেক কেটে তার সন্তানের লিঙ্গ নির্ধারণ করা হবে। কি বুঝতে পারলেন না তো? আসলে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিতে জেন্ডার নির্ণয়ের একটি অনুষ্ঠান রাখা হয়। যেখানে যে কেক বানাবে একমাত্র সেই জানবে অনাগত সন্তানের লিঙ্গ। কিন্তু এই নিয়ম ভারতবর্ষে চলে না।





আসলে ভারতবর্ষের মতো জায়গায় লিঙ্গ নির্ধারণ করা অপরাধ। জন্মের আগে অনেকেই লিঙ্গ নির্ধারণ করে সন্তান ছেলে না মেয়ে তা জানার পর এবরশন করায়। আবার মেয়ে হলে সেই মেয়েকে বিক্রি করে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য কাজ করে থাকে। এই কারণেই ভারতবর্ষে লিঙ্গ নির্ধারণ এক অপরাধ। যে কারণে শাস্তি হয়। কিন্তু নুসরাত একজন সাংসদ হয়ে এমন অপরাধ করলেন কেন? এটা কি তার সত্যিই উচিত হয়েছে? আপনাদের কী মনে হয় আমাদের জানান।।




