




মেয়ে বা মহিলা এবং ছেলে বা পুরুষ, মানুষ জাতিতে এই দুটি পরিচয় বাদে আরেকটি পরিচয় রয়েছে যাদের নাম কিন্নার বা তৃতীয় লিঙ্গ। সমাজ সর্বদা হিজড়াদের থেকে বিরত থাকে তবে তাদের বেঁচে থাকার অধিকার রয়েছে। নারী ও পুরুষের জন্য যাকিছু অধিকার আছে তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদেরও সমান অধিকার রয়েছে। তা সত্ত্বেও সমাজ সর্বদা ভীতিজনক চোখে নপুংসকদের দিকে তাকায়।





আজকে আমরা আপনাকে যার সম্পর্কে বলব তার নাম মনিকা দাস। তিনি বিহারের রাজধানী পাটনার বাসিন্দা এবং তিনি পাটনার একটি ব্যাংকে কাজ করেন। আপনাদের সুবিধার জন্য জানিয়ে দি মনিকা একজন তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি। তিনি একইসঙ্গে প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে একটি বুথের পুরো দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি দেশের প্রথম তৃতীয় লিঙ্গের ব্যাংকার হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন 2015 সালে।





তিনি নবোদয় বিদ্যালয় বিহার থেকে স্কুল শিক্ষার কাজ করেছিলেন। মনিকা পাটনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেছেন যেখানে তার স্বর্ণপদক রয়েছে। তিনি দেখতে খুবই সুন্দরী যার কারণে তিনি ট্রান্সজেন্ডারদের জন্য বিউটি প্রেজেন্ট এর খেতাব অর্জন করেছেন। তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি হওয়া সত্বেও মনিকা অবাধে তার জীবন যাপন করছেন এবং তিনি জনগণের কাছে অনুপ্রেরণা।





মনিকার নাম প্রথমে গোপাল ছিল কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন যে তাঁর মধ্যে মহিলাদের বৈশিষ্ট্য রয়েছে যার কারণে তিনি মেয়েদের সাথে থাকতে বেশি পছন্দ করতেন। তার পরিবারের সদস্যরা যখন তার সম্পর্কে জানতে পারে তখন তারা দূরে থাকতে শুরু করে তার কাছ থেকে। শুধুমাত্র তার বাবা এই কঠিন সময়ে তাকে সমর্থন করেছিলেন।





মনিকার বাবার দেওয়া উৎসাহ এবং সাহস প্রশংসাযোগ্য। মনিকা বলেছেন যে তার বাবা বলতেন যে তার প্রতিটি বাচ্চাকে সমান শিক্ষা দেওয়া হবে। তার বাবা তাকে সর্বদা বলতেন যে নিজেকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে যেখানে মানুষ কিছু কথা বলার আগে দুইবার ভাববে।





নপুংসকের ব্যাপারে মনিকাকে প্রশ্ন করা হলে সে বলে যে সে এটিকে নিজের নয় বরং হিজড়া সম্প্রদায়ের বিজয় হিসেবে তিনি মনে করেন। তিনি ট্রান্সজেন্ডারদের প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করতে চান। আজ আমার অনেক ট্রান্সজেন্ডার রয়েছেন যারা সমাজে উপেক্ষা হওয়ার কারণে এগিয়ে আসার সাহস পায়না। তার সাফল্য সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষকে অনুপ্রেরণা যোগায়।।




