




সত্যি কারের ভালোবাসা সেটাই যেখানে আপনি অপরজনের ভুল গুলোকে ঠিক করে দিয়ে এবং তার খারাপ দিকটা কেও গ্রহণ করে নেন। আপনারা হয়তো অনেক ভালোবাসার গল্প শুনেছেন, তবে আজ আমরা আপনাকে যে গল্পটি বলতে যাচ্ছি আপনি হয়তো এমন গল্প বলিউডের কোন সিনেমাতেও দেখেননি।





এই আশ্চর্য প্রেমের গল্পটি মধ্যপ্রদেশের বেতুল জেলার। একটি ছেলে তার প্রেমিকাকে পেতে 11 বছর অপেক্ষা করেছে নিজের ভালোবাসাকে বিয়েতে রূপান্তরিত করতে। সে প্রায় তার পুরো জীবনটাই উৎসর্গ করে দিয়েছে এর পিছনে। আসলে আমরা যে প্রেমিকের কথা বলছি সে চোখে দেখতে পারেনা এবং তার প্রেমিকার দুটি পা-ই প্রতিবন্ধী।





আসলে তারা একই কলেজে পড়তো এবং পড়াকালীন সেই ছেলেটি মেয়েটির প্রেমে পড়ে। তারা প্রথমে খুব ভালো বন্ধু হয়ে ওঠে এবং তারপরেই একে অপরের প্রেমে পড়ে যায়। এমন সময় মেয়েটি চাকরি পাওয়ার জন্য পরীক্ষা দেয় এবং সে সফল হয়ে যায়। এরপরে ছেলেটি মেয়েটিকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় কিন্তু মেয়েটি জানাই যে চাকরি না পাওয়া অবধি সে তাকে বিয়ে করবেনা।





এরপরই তাদের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে এবং দেখতে দেখতে 11 বছর কেটে যায়। তাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে গেছিল পুরোপুরি বলা যায়। এর পরে মেয়েটি তাদের পুরনো সম্পর্ক আবার ঠিক করার জন্য শেষ চেষ্টা করেছিল। মেয়েটি পারিবারিক পরামর্শ কেন্দ্রে গিয়ে তাদের গল্পটি জানিয়েছিল। এরপরে মহিলা স্টাফ এবং সামাজিক কর্মীরা এই ছেলেটিকে ডেকে বুঝিয়েছিল তারপরে সেই ছেলেটি বিয়ে করতে রাজি হয়। তারা হিন্দু রীতি মেনে 28 শে জুন তাদের বিবাহ সম্পন্ন করে।।




