




সময় এবং বয়স কখনোই মানুষের স্বপ্নকে থামাতে পারেনা। হ্যাঁ তার জন্য অবশ্যই আমাদের লক্ষ্যের প্রতি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকতে হবে। অনেক লোক পারিবারিক জীবনে প্রবেশের করে পড়াশোনা ছেড়ে পরিবার এবং বাচ্চাদের যত্ন নেওয়া শুরু করে। যখন তাকে জিজ্ঞেস করা হয় তখন সে বলে তার এখনও অনেক স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে গেছে।





তবে আর যে মহিলার গল্প আমরা আপনাকে বলতে যাচ্ছি সে আপনাকে অনেক কিছু শেখাতে পারে। একজন মহিলা কিভাবে বিয়ের কুড়ি বছর পরেও সাফল্যের এক নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছেন এবং কালেক্টরের পদ অর্জন করেছেন আজ আমরা আপনাকে বলব। পরিবারের সদস্য এবং শিশুদের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি এই মহিলা পড়াশোনা চালিয়ে যান।





আসুন আমরা আপনাকে বলি যে সেই মহিলা ছিলেন সাব কালেক্টর কে শিখা সিনহা। তিনি সাসারাম বিহারের বাসিন্দা। 2002 সালে গয়াতে বসবাসকারী মুকেশ কুমারের সাথে তার বিয়ে হয়। শিখার স্বামী মুকেশ কুমার গয়ার এক্সাইজ ইন্সপেক্টর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বিয়ের পরে শিখা স্বামীর সাথে তার বাড়িতে চলে যায়।





পরে তার স্বামী বিহারের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হয় যার পরে তার বদলি হয়। তার স্বামীর পোস্টিং অরঙ্গাবাদ পরে। পোস্টিং এর কারণে শিখা কেও তার স্বামীর সাথে সেখানে যেতে হয়েছিল। যার কারনে সে কখনোই নতুন কিছু করতে পারেনি। তারপরে তার দুটি বাচ্চা হয় যার ফলে সে সংসার জীবনে আরো বেশি বাঁধা পড়ে যায়।





বাচ্চাদের উজ্জল ভবিষ্যতের জন্য তাদের পেছনে দিনরাত খাটতে হতো শিখাকে। এর জন্য শিখাবো পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠে রাত বারোটা পর্যন্ত কাজ করতো। বাচ্চাদের পাশাপাশি তাকে শাশুড়ি এবং স্বামীর যত্ন নিতে হতো কারণ সে যৌথ পরিবারে থাকতেন। তবে পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার পরেও শিখা স্বামীর কাছ থেকে আরো পড়াশোনা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল।





যার পরে স্বামী তাকে দিল্লিতে গিয়ে পড়াশোনার পরামর্শ দেন। পরিবারের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি শিখা পড়াশোনা করতে চেয়ে ছিলেন তাই দিল্লিতে না গিয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন IGNOU থেকে গ্রাজুয়েশন করবেন। স্নাতক উত্তরকালে তিনি একটা সংবাদপত্র ও ম্যাগাজিন পরতেন এবং এর পাশাপাশি তিনি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেছিলেন।





তিনি পরিবারের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি তিনবার ইউপিএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন তবে প্রতিবারই ব্যর্থ হন। এরপরই তিনি 2015 সালের বি পি এস সি বিজ্ঞাপন দেখে ফরমটি পূরণ করেন। কঠোর পরিশ্রম করে সে পরীক্ষা দেয় এবং এর ফলে 2018 সালে বি পিএসসি ফলাফলে সে উত্তীর্ণ হয়। তিনি জেলা প্রশাসকের পদ পেয়েছেন। যৌথ পরিবারের সদস্য হওয়ার পরেও তিনি লিখেছেন তার সাফল্যের গল্প যা কল্পনার বাইরে।





শিখা আজকের নারীদের কে বলেছেন যে তাদের কখনোই নিজেকে অযোগ্য মনে করা উচিত নয়। তারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিক তারা কি করতে পারে। তারা যদি নিজেদেরকে দুর্বল মনে করে তবে তারা জীবনে কোন উন্নতি করতে পারবে না। সাফল্য কখনো বয়স এর দিকে তাকিয়ে আসে না। এর জন্য চাই আত্মবিশ্বাস এবং লক্ষ্যের দিকে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকা। আমরা যদি আত্মবিশ্বাস নিয়ে প্রস্তুতি নেই তবে অবশ্যই আমরা সাফল্য পাবো।।




