




যখন আমরা কোনো দরিদ্র মানুষকে সফল হতে দেখি বা আর্থিক অবস্থার উন্নতি হতে দেখি তখনই আমরা ভাবি যে তাঁর ভাগ্যের জোরে আজ এই সফলতা। কোনোদিন আমরা জানতে চাইনা কত পরিমাণ কষ্ট তাঁকে করতে হয়েছে এই সফলতা লাভের জন্য। আমরা এমন অনেক সংঘর্ষের কথা রোজ জানতে পারি।





আজ আমরা এমনই এক মহিলার কথা বলব যিনি কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে সফলতা অর্জন করতে পেরেছেন। গুজরাতের সবিতাবেন দেবজীভাই পরমার -কে আজ সবাই চেনে, সবাই জানে। তিনি “কোলসাবালা” বা “কয়লাবালী” নামে বিখ্যাত। আজ তিনি কোটিপতি হলেও এক সময়ে তাঁকে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কয়লা বেঁচে দিন চালাতে হত।





গুজরাতের রাজধানী আহমেদাবাদ -এর বাসিন্দা সবিতাবেন -এর স্বামী আহমেদাবাদ মিউনিসিপ্যাল ট্রান্সপোর্ট সার্ভিস -এ কন্ডাক্টর ছিলেন। তাঁদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। আর এদিকে তাঁরা যৌথ পরিবারে থাকায় একজন মানুষের ওপর পুরো পরিবারের দায়িত্ব সামলানো সম্ভব হচ্ছিল না। এই কারণে সবিতাবেন চাকরি করার সিদ্ধান্ত নেন।





কিন্তু পড়াশোনা না জানায় কেউই তাঁকে কাজে রাখতে চাইছিলেন না। কোনো কাজ না পাওয়া যাওয়ায় তিনি নিজের কাজ শুরু করার কথা ভাবেন। তাই তিনি কয়লা বিক্রির কথা ভাবেন। কয়লা তৈরির জিনিস কেনার মতো সামর্থ্য ছিল না। পয়সার জন্য কয়লা ফ্যাক্টরির জ্বলে যাওয়া কয়লা বিক্রি শুরু করেন।





কিন্তু ব্যবসা শুরূ হলেও তিনি কোনো খরিদ্দার পাচ্ছিলেন না। এরপর তিনি নিজেই কয়লা বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন। তাই তিনি দোকানে দোকানে কয়লা বিক্রি শুরু করেন। কয়লা বেশ ভালো হওয়ার কারণে তাঁর গ্রাহকদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এইভাবে ১৯৮৯ সালে সবিতাবেন প্রীমিয়ার সিরেমিক্স বানানো শুরু করেন।





১৯৯১ সালে স্টার্লিং সিরেমিক্স নামক কম্পানি শুরু করেন। এরপর বিদেশে রপ্তানি শুরু করেন। সবিতাবেনের নাম দেশের বড়ো বড়ো ব্যবসায়ী দের সাথে নেওয়া হলেও, একটা সময় যখন তাঁর প্রয়োজন ছিল তখন কেউ পাশে ছিল না। আজ তিনি নিজেই মালিক। সবিতাবেন -এর কথা আজ বহু মানুষের প্রেরণা।।




