




ভারতে বেশিরভাগ মানুষই সরকারি চাকরির মাধ্যমে নিজের জীবন সুখের করতে চায়। যদিও সরকারি চাকরি পাওয়ার পর অনেকেই বেশি ইনকামের জন্য ঘুষ নেয়। যার ফলে দেশে ভ্র-ষ্টা-চা-র হয়। কিন্তু যদি কেউ সমাজে বদল আনার চেষ্টা করে তবে তা সকলের জন্যই ভালো।





উত্তর প্রদেশের আইএএস অফিসার প্রশান্ত নাগর নিজের বিয়ের মধ্যে দিয়ে তিনি সমাজকে এক আলাদা পথ দেখিয়েছেন। প্রশান্ত নাগর বর্তমানে অযোধ্যায় জয়েন্ট মেজিস্ট্রেট পদে নিযুক্ত আছেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি তাঁর বিয়ে নিয়ে চর্চায় আছেন।





প্রশান্ত আর মনিষার বিয়ে লকডাউনের সময় হওয়ায় কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে তাঁদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। বরযাত্রীতে মাত্র ১১ জন ছিলেন। বিয়ে পুরো রীতি মেনে হলেও সাত পাক ঘোরার বদলে তাঁরা আট পাক ঘোরেন। আট পাকে প্রশান্ত প্রতিজ্ঞা নেন যে তিনি কোনোদিন ঘু-ষ নে-বে-ন না।





এমন সৎ অফিসার প্রশান্ত নাগরের মা এই বছর মে মাসে কো-রো-না -র প্রকোপে মা-রা যান। তাঁর বাবা পণের বিরোধী। তাই তিনি মেয়ের বাড়ি থেকে কিছু নেন নি। এমনকি রণজিৎ বাবু অর্থাৎ প্রশান্ত নাগরের বাবা নিজের মেয়ের বিয়েতেও কোনো রকম পণ দেননি।





এক্ষেত্রে বর পক্ষ থেকে মাত্র ১০১ টাকা আশীর্বাদ স্বরূপ স্বীকার করেন। আসলে রণজিৎ নাগর মনে করেন বিয়েতে অযথা খরচ করার থেকে সেই টাকায় দরিদ্র পরিবারের মেয়ের বিয়ে দিয়ে সাহায্য করা উচিত। রণজিৎ বাবু আর প্রশান্ত বাবুর চিন্তাধারা-কে আমরা কুর্ণিশ জানাই।





বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ মানুষই সুবিধাভোগী তে রূপান্তরিত হয়েছেন। তাঁদের চাওয়ার কোনো শেষ নেই। সমাজে রণজিৎ নাগর ও প্রশান্ত নাগর -এর মতো মানুষের ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের জানান।।




