




মানুষের মধ্যে ক্ষমতা আছে সমস্ত অসুবিধাকে জয় করে, সমস্ত সমস্যার সমাধান বের করে আগে এগিয়ে যাওয়ার। কোনো দুর্ঘটনায় যদি কেউ একাধিক অঙ্গ হারিয়ে ফেলে তাহলে যে তাঁর জীবন সেখানেই শেষ নয় তা অনেকেই প্রমাণ করে দেখিয়েছেন। আজ এমনই একজনের কথা আপনাদের বলব।





কেরলের ২৫ বর্ষীয় ডাক্তার মারিয়া বীজুর একটি অ্যাকসিডেন্ট হয় যে কারণে তাঁর গলার নীচ থেকে প্যারালাইসিস হয়ে যায়। এই কারণে তাঁর সার্জারি হয়। এরপর তাঁকে দীর্ঘ সময় রিহেবিলেশন থেরাপি দিতে হয়। মারিয়াকে বহু দিন হসপিটালে কাটাতে হয়। এরপর ২০১৫ সালে মনে জোর এনে কেরলের ভডুপুজার আল অজহর মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন এবং পড়াশোনা শুরু করেন।





মারিয়া বীজু জানান পরীক্ষার সময় তিনি আঙুলে সেনসেশন অনুভব করতে না পারার কারণে লিখতে অসুবিধা হত। তাঁর এই অবস্থা দেখে ইউনিভার্সিটি অন্য কাউকে দিয়ে খাতায় লেখানোর পারমিশন দেন। এইভাবে তিনি পরীক্ষা দেওয়া শুরু করেন। তিনি তাঁর বন্ধুর সাহায্য নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফাইনার এক্সামে ৬৪% মার্কস পান।





তিনি সার্জন হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর এই একসিডেন্ট এর কারণে তা সম্ভব না হওয়ায় তিনি তাঁর এম.ডি -র রিসার্চে মন দেন। দেখতে গেলে মারিয়া বীজু বহু বিকলাঙ্গ মানুষের অনুপ্রেরণা। তাঁর এই কাহিনি বোঝায় যে শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনও মানুষকে জীবনে সফল হওয়ার পথে বাধা দিতে পারে না, যদি না সে নিজে হার মেনে নেয়।।




