




আপনি নিশ্চয়ই প্রেম সম্পর্কিত অনেক গল্প শুনেছেন। তবে আজ আমরা আপনাকে এমন একটি প্রেমের গল্প বলতে যাচ্ছি সেটা ফিল্মি বা ঐতিহাসিক নয়। তবে আপনি শুনে অবাক হবেন। হ্যাঁ আসুন আমরা আপনাকে বলেছি এই প্রেমের গল্প টি মহারাষ্ট্রের নাসিক এর। 15 দিন আগে যেখানে একটি বিয়ে হয়েছিল তা হঠাৎ করে আলোচনায় এসেছে।





15 দিন আগে যে বিয়েটি হয়েছিল সেখানে এক যুবক পুরোপুরি রীতি মেনে এক নপুংসক কে বিয়ে করেছেন। একই সাথে তার পরিবারের সদস্যরাও কিন্নর পুত্রবধূকে সানন্দে গ্রহণ করেছেন। এমনকি 15 দিন পরেও লোকেরা প্রতিদিন কিন্নর পুত্রবধূকে দেখার জন্য তার বাড়িতে এসেছেন। নাসিকের মনমাদের বাসিন্দা সঞ্জয় ঝাল্টে লোক ও সমাজ নির্বিশেষে 15 জুন লক্ষ্মী নামের এক নপুংসককে স্ত্রী হিসেবে বিয়ে করেছেন।





বিয়েটি মন্দিরের হয়েছে। জানা যায় এই বিয়েতে খুব বেশি লোক উপস্থিত ছিলেন না। এখানে আসা সমস্ত লোকের দম্পতিকে তাদের আশীর্বাদ দিয়েছেন। সঞ্জয় বলেছেন যে, এই ধরনের বিবাহ সচেতন সমাজ কে একটি বার্তা দিতে চান। সঞ্জয় এবং লক্ষীর আলাপ হয় টিকটক নামক একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ এর মাধ্যমে।





কিছুদিনের মধ্যেই তাদের পরিচয় প্রেমে রূপান্তরিত হয় এবং তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। সঞ্জয় তার ইচ্ছা তার বাড়ির লোককে জানায় এবং তারপরে তার মা লক্ষীর সাথে দেখা করেন। তাদের গ্রহণযোগ্যতার পরে দুজনেই প্রাচীন শিব মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেন। লক্ষীর কিছু নপুংসক বন্ধু এই বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন।





এই বিবাহ সম্পর্কে সঞ্জয় বলেছে সবাই সর্বশেষ একজন মানুষ। সবার নিজের একটি জীবন আছে তাহলে তাদের বিয়ে করতে সমস্যাটা কোথায়? নতুন জীবন শুরু করে সঞ্জয় একটি গানের কয়েকটি লাইন ও বলেছিলেন যে, কুচ তো লোগ কাহেঙ্গে লোগো কা কাম হে কেহেনা। অন্যদিকে সঞ্জয়ের মা বলেছিলেন যে ছেলে কোন নপুংসককে বিয়ে করেছে শুনে সে প্রথমে অবাক হয়ে যায়,





তবে এটাও সত্য যে উভয় সমাজের সামনে একটি নতুন আদর্শ উপস্থাপন করেছেন। একই সাথে শিবলক্ষ্মী অর্থাৎ লক্ষী এই বিবাহ সম্পর্কে বলেছেন যে ভারতীয় সংস্কৃতিতে মেয়েরা বিয়ের পর স্বামীর বাড়িতে যায় সে কোনদিনও ভাবেনি যে তাকে পুত্রবধূ হিসেবে গ্রহণ করা হবে। তার নামের মতন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে সত্য অর্থ লক্ষী হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সবকিছু একটি স্বপ্নের মতন চলছে তার জীবনে। অবশ্যই শে খুব খুশি।।




