




আপনি নিশ্চয়ই অনেক প্রাণীর অনুগত্যের গল্প শুনেছেন। কারণ প্রাণী হল মানুষের প্রকৃত বন্ধু যারা তাদের কর্তার কর্তব্য ব্যতীত কখনো তাদের কোনো ক্ষতি করে না। বহু মানুষ কঠিন সময়ে আসল মানুষ চিনতে পারে। কিন্তু প্রাণীরা কখনো তাদের মালিকের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে না। আজ আমরা আপনাকে বিহারের এমনই এক গজরাজের গল্প বলতে যাচ্ছি।





যারা এমন কঠিন সময় তার মালিক কে সমর্থন করেছিল যে মূল উদ্দেশ্য নিয়ে আসা চোরেরা লেজ গুঁটিয়ে পালাতে বাধ্য হয়েছিল। হাতিটি তার মালিককে নতুন জীবন দিয়েছে। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই হাতির গল্প, তারা কে এবং তারা কিভাবে তাদের প্রভুর জীবন বাঁচিয়ে ছিল। আখতার ইমাম বিহারের পার্টনার বাসিন্দা।





তিনি নিজের বাড়িতে দুটি হাতি রেখেছিলেন। তাদের নাম রানী এবং মতি। একদিন রাতে দুটো চো-র আখতারের বাড়িতে প্রবেশ করে। আখতার কে হ-ত্যা করে চো-রে-রা সমস্ত মাল চু-রি করতে চেয়েছিল। কিন্তু হাতিরা চো-রে-দে-র বিষয়টি জানতে পারার সাথে সাথে তারা শব্দ শুরু করে। হাতিদের আওয়াজ শুনে প্রতিবেশীরাও আখতারের বাড়িতে চলে আসে।





এমন পরিস্থিতিতে চো-রে-রা বেগতিক দেখে পালিয়ে যায়। দূরদূরান্ত অনুসন্ধান করার পরেও চো-রে-দে-র সন্ধান পাওয়া যায়নি। এরপরে আখতার যখন তার দুই সঙ্গী রানি এবং মতির সাহসিকতার কথা জানতে পেরেছিল। তখন সে তাদের সন্তানের চেয়ে বেশি বিবেচনা করতে শুরু করে। আখতার জানায় আগে তার একটি ছেলে রয়েছে। কিন্তু সেই ছেলে থাকা না থাকা সমান।





কারণ সেই ছেলে আখতারকে জা-লি-য়া-তি-র মা-ম-লা-য় ফাঁ-সি-য়ে দিয়েছিল, কারণ সে চাইছিলেন যাতে আখতার তার সমস্ত সম্পত্তি তার নামে স্থানান্তরিত করে। তারপরে তার ইচ্ছা ছিল বাবাকে বার করে দেওয়ার যাতে সমস্ত সম্পত্তি সে একা ভোগ করতে পারে। কিন্তু আখতার তাকে সমস্ত সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করেছেন এবং লা-থি মেরে ঘর থেকে বার করে দিয়েছেন।





তিনি বলেছিলেন যে, এখন তার অর্ধেক সম্পত্তি তার কাছে এবং অর্ধেক তার স্ত্রী এর কাছে। এছাড়াও 5 কোটি টাকার সম্পত্তির অর্ধেক অংশ উভয় হাতির নামে রয়েছে। আখতার বলেছেন যে, তার মৃ-ত্যু-র পর এই সমস্ত সম্পত্তি ঐরাবত নামে একটি সংস্থা কে দেওয়া হবে। এছাড়াও সেখানে তার রানী, মতি যত্নেই থাকবে।





আজ আখতারের খুশি শেষ নেই। তারা আখতার এর সমস্ত বিষয় এবং অনুভূতি বুঝতে পেরে তাকে কখনো সন্তানের অভাব অনুভব করতে দেয়নি। আখতার ইমাম জানান যে, ছেলেকে সম্পত্তি থেকে উচ্ছেদ করার পরে নয় মাস কেটে গেছে। আজ তিনি উভয় হাতির সাথে জীবন কাটাচ্ছেন। আক্তারের বিশ্বাস এখন পুরো জীবনী হাতি দের সাথেই তার কেটে যাবে। হাতি এখন তার জীবন সঙ্গী।।




