




উত্তর প্রদেশের পীলীভিত -এর বাসিন্দা ধর্মেন্দ্র কুমার তাঁর ডায়বেটিক মায়ের জন্য ১০ বছরের চেষ্টায় একটি ডিভাইস বানান। যার সাহায্যে তাঁর মা সুস্থ হয়ে যান। এরপর থেকেই তাঁর এই আবিষ্কার অন্যান্য দের মধ্যে সারা ফেলে দেয়। ২০১৪ সালে কানপুরের ড. আম্বেদকর ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি ফর হ্যাণ্ডিক্যাপ থেকে ইলেক্ট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করা ধর্মেন্দ্র “ইন্সোলিটি” নামক একটি ডিভাইস বানান।





তিনি জানান এই ডিভাইসের সাহায্যে কোনো ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস ঠিক হয়ে যাবে। এই ডিভাইস সত্যিই কাজ করে কিনা তা তো সময়ই বলবে কিন্তু তাঁর মা -এর জন্য তৈরি করা এই ডিভাইস সত্যিই প্রশংসনীয়। তাঁর বাবার স্বপ্ন ছিল তিনি যেন ইঞ্জিনিয়ার হন। কিন্তু যখন ধর্মেন্দ্র ২ বছরের ছিলেন তখন তাঁর পোলিও হয়।





কিন্তু নিজের পরিশ্রমের দ্বারা তিনি ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেন। ইলেক্ট্রিকল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সময় তিনি অনেক চাকরির অফার পান। কিন্তু সেই সময় তাঁর মা -এর ডায়াবিটিস হয়। তাঁর মনে ডায়াবিটিস নিয়ে অনেক প্রশ্ন আসতে থাকে। এই নিয়ে উত্তর খোঁজার সময় তিনি জানতে পারেন যখন আমাদের মস্তিষ্কের শরীরের অন্যান্য তন্ত্রীর ওপর কন্ট্রোল থাকে না তখন ডায়াবিটিস দেখা দেয়।





তখন তিনি সিদ্ধান্ত নেন এই সমস্যার সমাধান তিনি ডিভাইসের সাহায্যে করবেন। এই ডিভাইসের ব্যবহারে ডায়াবিটিস ইনসুলিন ছাড়াই ঠিক হতে পারে বলে তিনি দাবি করেন। ৯০ থেকে ১২০ দিন ব্যবহার করলে ডায়াবিটিস নিরাময় হয়। তাঁর বানানো ডিভাইস থেকে যে রশ্মি নির্গত হয় তা থেকে শরীরের এমিনো অ্যাসিড কন্ট্রোলে থাকে।





তিনি বহু মানুষের মধ্যে এই ডিভাইসের ব্যবহার করেন এবং ভালো রেজাল্ট পেয়েছেন। তাঁর এই টেকনিক সম্পর্কে জেনে ফ্রান্স থেকে তাঁকে নিমন্ত্রণ করা হয়। কিন্তু লকডাউনের কারণে যেতে পারেননি। লকডাউন খুললে তিনি ফ্রান্সে যাবেন। তাঁর বানানো এই যন্ত্র ২৩০০০ টাকায় তৈরি হয়ে যায়। ধর্মেন্দ্র ইন্সোল-টি ডিভাইসের ওপর নিরন্তর কাজ করে চলেছেন।।




