




২০২১ এ এসেও এখনও এমন অনেক জায়গা আছে যেখানে হাতুড়ে ডাক্তার আর ভুয়ো ডাক্তার দের ওপর মানুষ ভরসা করে। অনেক সময় এই সব ভুয়ো ডাক্তার দের অবহেলায় মানুষের জীবন পর্যন্ত শেষ হয়ে যায়। আবার কখনও কখনও বাচ্চাদের এমন চিকিৎসা করে যে তাদের সারাজীবন প্রতিবন্ধী হয়ে কাটাতে হয়। এমনই একজন হলেন উড়িষ্যার তপস্বিনী দাস।





এক ডাক্তার এর ভুল চিকিৎসায় তাঁকে দৃষ্টিশক্তি হারাতে হয়। যদিও এই প্রতিবন্ধকতা তাঁকে হারাতে পারেনি। তিনি ছোটো থেকেই মেধাবী ছাত্রী ছিলেন। দ্বাদশ শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন। কলেজেও তিনি ভালো মার্কস নিয়ে পাশ করেন। তপস্বিনীর মা-বাবা তাঁকে নিয়ে ভীষণ চিন্তায় থাকতেন। তপস্বিনী দাস ভেবেই নিয়ে ছিলেন যে কিছু হয়ে দেখাবেন মা-বাবাকে।





নিজের জীবনে আসা সমস্ত সমস্যার সমাধান যে তিনি করবেন তা তিনি অল্প বয়সেই ভেবে নিয়েছিলেন। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তপস্বিনী উড়িষ্যার সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় ১৬১ তম রাঙ্ক প্রাপ্ত করেন। যদিও UPSC পরীক্ষায় প্রতিবন্ধীদের জন্য স্থান বরাদ্দ থাকে তাও তিনি সাধারণ পরীক্ষার্থী হিসেবে পরীক্ষায় বসেন।





ভুবনেশ্বরের উৎকল ইউনিভার্সিটি থেকে তিনি গ্রাজুয়েশন পাশ করেন। UPSC পরীক্ষার জন্য অন্যান্য পরীক্ষার্থীদের মতো পড়তে না পারার জন্য তিনি পাঠ্য বই -এর অডিও রেকর্ড পড়তে থাকেন। তপস্বিনী দাস জীবনে অনেক সংঘর্ষ করার পর নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে সমর্থ হন। তাঁর থেকে প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষা পায় যে জীবনে সমস্যা আসবেই কিন্তু হার না মেনে তার সমাধান করতে হবে।।




