




আজ আমরা আপনাকে একজন দয়ালু সরকারি কর্মচারীর একটি উপাখ্যান বলতে যাচ্ছি, যেখানে তিনি একজন বৃদ্ধা মহিলার জীবন বদলে দিয়েছিলেন। 80 বছর বয়সী এক মহিলা যিনি তার বাড়িতে একা থাকতেন এবং দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। তিনি অনেক দিন ধরে খাবারও খাননি।





জ্বর থাকার জন্য মহিলার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে গিয়েছিল। তিনি এমন কি ঠিকঠাকভাবে বসতে পারতেন না এবং এই রকম জরাজীর্ণ পরিস্থিতিতে তিনি কেবল ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতেন। তামিলনাড়ুর করুর জেলার কালেক্টর টি আম্বাজান যখনই মহিলার কথা জানতে পেরেছিলেন।





তখনই তিনি তার স্ত্রীকে খাবার রান্না করতে বলেন এবং তারপরে টিফিন বক্সে করে খাবার নিয়ে ওই বৃদ্ধা মহিলার কুড়ে ঘরের কাছে চলে যায়। সেই বৃদ্ধা মহিলার আশেপাশের লোকেরাও তার সাথে বেশি কথা বলতেন না এবং কেউ তাকে সহায়তা করতেন না। তবে তাদের পরিবর্তন হয়েছিল যখন সেই জেলার উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন।





বৃদ্ধা অবাক হয়েছিলেন এবং বুঝতে পারছিলেন না কি হয়েছে। তখন ডিএম সাহেব তাকে বললেন যে, “মা আমি আমার বাড়ি থেকে আপনার জন্য খাবার এনেছি। আসুন আমরা একসাথে খাই।” সে বৃদ্ধা মহিলার বাড়িতে বেশি বাসন ছিলনা, তাই সেই মহিলা ডিএম সাহেবকে বলে যে, “স্যার আমরা কেবল কলাপাতায় খাবার খাই।





এই শুনে ডিএম সাহেব ভীষণ আনন্দিত হয় এবং বলেন যদি তাই হয় তবে আমি আজ কলাপাতায় খাবার খাব।” তারপরে সে বৃদ্ধা মহিলার সাথে বসে খাবার খায় এবং বৃদ্ধা মহিলার পেনশনের কাগজপত্র ঠিকঠাক করে দেন এবং সে বৃদ্ধা মহিলাকে বলেন যে তাকে ব্যাংকে যাওয়ার দরকার নেই সে ঘরে বসে পেনশন পাবে। এই বলে কালেক্টর সাহেব গাড়িতে করে ফিরে গেলেন এবং সেই বৃদ্ধা অশ্রুসিক্ত চোখে সে দয়ালু ডিএম সাহেবের দিকে তাকিয়ে রইলেন।।




