




আদিম কাল থেকেই মানুষ বিভিন্ন পশু-পাখিকে নিজের বশবর্তী করে এসেছে। আমরা জানি ময়না, কাকাতুয়া, টিয়া পাখি মানুষের মতো কথা বলতে পারে। আসলে এই ধরনের পাখিরা দীর্ঘদিন মানুষের সাথে থাকতে থাকতে এসব শিখে যায়। যাঁরা গ্রামে থাকেন তাঁরা শালিক পাখিকেও অনেকবার কথা বলতে দেখেছেন।





শালিক পাখি শহরেও দেখা যায় তবে দোকানে বিক্রির জন্য। এসব পাখিদের কৃত্রিম খাবার ও ঔষধের মাধ্যমে বড় করে তোলা হয়। কিন্তু আদতে এই পাখি বেশ ছোটোই হয়ে থাকে। এদের পোষ মানাতে গেলে ছোটো থেকেই নিজের কাছে রাখতে হয়। মানুষের সংস্পর্শে থাকতে থাকতে বন্য ব্যবহার এরা ত্যাগ করে।





এমনই এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে বর্তমানে। ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একটি শালিক পাখি মানুষের মতো করে কথা বলার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন রকম অঙ্গ-ভঙ্গি করে সবাইকে বিনোদন দিচ্ছে। পাখিটিকে ছেড়ে দিলেও সে বাড়িতেই ফিরে আসছে। এই ভিডিও দেখে মনে হচ্ছে শালিক পাখিটি কোনো পোষ মানানো পাখি নয় বরং পরিবারেরই এক সদস্য।





কতটা ভালবাসা আর যত্ন দিলে একটা বন্য পাখি পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে মানুষ, পরিবারের কাছে ফিরে আসে তা হয়ত একমাত্র পশু-পাখিকে যাঁরা সন্তান স্নেহে লালন পালন করেন তাঁরাই বুঝবেন। এই পশু-পাখির সাথে মানুষের যে বন্ধন তা শুরু হয়েছিল কুকুরের মধ্যে দিয়ে। কুকুরই এমন প্রাণী যাকে মানুষ প্রথম পোষ মানাতে সক্ষম হয়।





বর্তমান সময়ে বহু মানুষের হীনমন্যতা দেখা দিয়েছে। এই হীনমন্যতা কাটাতে, মনের জোর বৃদ্ধিতে পশু-পাখির সাহচর্যের জুরি মেলা ভার। ঈশ্বর যেন তাদের এক অসীম ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। হয়তো জানতেন পৃথিবীর সবথেকে বুদ্ধিমান প্রাণীর একদিন এক অবলা প্রাণীর প্রয়োজন পড়বে নিজের সকল কষ্ট ভুলে আবার হাসার। এখনও যদি সেই ভিডিও না দেখে থাকেন দেখে নিতে পারেন।।