




শচীন টেন্ডুলকারকে জানে না এমন মানুষ ভারতবর্ষে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। ১৬ বছর বয়সে প্রথম তিনি ম্যাচ খেলেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা সবাই-ই প্রায় জানেন। আমরা আজ এই নিয়ে কথা বলব না, বলব এমন কিছু নিয়ে যা জানার ব্যাপারে সবারই কম-বেশি কৌতুহল রয়েছে।





শচীন এবং তাঁর স্ত্রী অঞ্জলির প্রথম দেখা হয় এয়ারপোর্টে। ১৯৯০ সালের কাছাকাছি সময়ে শচীন ইংল্যান্ড থেকে ফিরছিলেন আর অঞ্জলি তাঁর মাকে নিতে গেছিলেন এয়ারপোর্টে। শচীন টেন্ডুলকার তাঁর অটো-বায়োগ্রাফিতে তাঁর আর অঞ্জলির সম্পর্ক নিয়ে লিখেছিলেন।





সেখান থেকে জানা যায় ২৩ বছরের অঞ্জলি ১৭ বছরের শচীনকে দেখে নিজের মাকে নিয়ে যেতেই ভুলে গেছিলেন। অঞ্জলি এক ইন্টারভিউতে জানান শচীনের সাথে দেখা করার জন্য একবার তিনি রিপোর্টার এর বেশে তাঁর বাড়ি চলে যান। তিনি আরও জানান ইন্টারন্যাশনাল কল খরচের থেকে বাঁচার জন্য শচীনকে চিঠি লিখতেন।





একবার নিউজিল্যান্ডে শচীনের সাথে দেখা করার জন্য অন্ধকারে ৪৬ একর রাস্তা পার করেন। এরপরই তাঁরা এনগেজমেন্ট -এর সিদ্ধান্ত নেন। শচীনের লোকপ্রিয়তার কারণে অনেক সময় নকল দাড়ি-গোঁফ লাগিয়ে তাঁকে অঞ্জলির সাথে দেখা করতে হত।





এত কিছুর পরও একদিন এক থিয়েটারে মানুষ তাঁকে চিনে ফেলে যে কারণে সিনেমা পুরো না দেখেই তাঁকে চলে আসতে হয়। ২২ বছরের শচীন ২৮ বছরের অঞ্জলিকে বিয়ে করেন ১৯৯৫ সালে। অঞ্জলিকে যতটা শচীন ভালোবাসেন তার থেকেও বেশি সম্মান করেন। অঞ্জলির সমস্ত ত্যাগকে তিনি স্বীকার করেন।





তাঁর নেওয়া প্রতিটা সিদ্ধান্তকে শচীন বিশ্বাস করেন। ভারতীয় ক্রিকেট টিমের ক্যাপটেন হওয়ার পরও বহুবার তিনি অঞ্জলির কাছে টিমের প্রবলেম শেয়ার করেছেন। একটা সম্পর্কে এই সম্মানটার ভীষণ প্রয়োজন হয়। তো কেমন লাগল আপনাদের ক্রিকেটের ভগবানের প্রেম কাহিনি জেনে?




