




ভারতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে রতন টাটা অন্যতম। তাঁর কর্মজীবনে সাফল্যের কথা তো অনেকেই জানেন। এর পাশাপাশি তিনি যে একজন ভালো মনের মানুষ তা আমরা বহুবার জেনেছি। তিনি এই কো-রো-না কালে তাঁর অধীনে কর্মরত প্রতিটি কর্মীর পরিবারের খেয়াল রেখেছেন। রতন নাভেল টাটার বয়স প্রায় ৮৩ বছর।





কিন্তু এখনও তিনি বিয়ে করেননি। তাঁর এই চিরকুমারত্ত নিয়ে অনেকেরই বিস্ময় আছে। ৮৩ বছরের জীবনে কি সত্যিই কাউকে মনে ধরেনি রতন টাটার? নাকি এমন কেউ ছিল যাঁর পর আর কাউকে মনে সেই জায়গা দিতে পারেননি রতন টাটা? আজ আমরা এই বিষয়েই বিস্তারিত জানব।





১৯৯১ সালে জেআরডি টাটার পর টাটা গ্রুপের পঞ্চম চেয়ারম্যান হন রতন টাটা। তিনি পদ্মভূষণ, পদ্মবিভূষণ এর মতো সম্মান প্রাপ্ত। এছাড়াও সিবিএন-আইবিএন ইণ্ডিয়ান অব দ্য ইয়ারও জিতেছেন তিনি। এহেন রতন টাটা একবার এক ফেসবুক পেজে ইন্টারভিউতে জানান যৌবনে তিনি এক নারীর প্রেমে পড়েছিলেন।





বিয়ের কথাও হয়েছিল কিন্তু বিয়েটা হয়নি। ১৯৩৭ সালে গুজরাটের সুরাট-এ জন্ম গ্রহণ করেন রতন টাটা। ১০ বছর বয়সে তাঁর বাবা-মা এর বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার পর থেকেই তিনি ঠাকুমার সাথে থাকতে থাকেন। ঠাকুমার শেখানো নীতিবোধ আজও রতন টাটা মেনে চলেছেন। তিনি আর্কিটেকচার নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্নাতক পাশ করেন।





এরপর তিনি লস এঙ্গেলস-এ দুবছর কাজ করেন। সেই সময় তাঁর সাথে আলাপ হয় এক মার্কিন তরুণীর। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাঁরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সেই সময় রতন টাটার ঠাকুমা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে যান। ফলে রতন টাটা বাধ্য হন দেশে ফিরতে। কথা ছিল এরপর সেই তরুণীও ভারতে আসবে, এতে তরুণীর পরিবারও রাজি ছিল।





১৯৬২ সালে ইন্দো-চায়না যুদ্ধের কারণে তরুণীটির পরিবার তাঁকে আর ভারতে আসতে দেয় না আর যুদ্ধের কারণে রতন টাটাও যেতে পারেন না তাঁর কাছে। যার ফলে তাঁদের ভালোবাসার সম্পর্ক ভেঙে যায়। সম্পর্ক ভেঙে গেলেও আজীবন রতন টাটার মনে থেকে গেছেন সেই মার্কিন সুন্দরী। এই কারণেই রতন টাটা আর বিয়ে করেননি। সিদ্ধান্ত নেন চিরকুমার থাকার।।




