




একবছর ধরে গোটা মানবজাতিকে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তা কাউকে সহ্য করতে হচ্ছে মানসিক ভাবে, কাউকে শারীরিক আবার কাউকে আর্থিক ভাবে। কিন্তু সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে জয় করেও যে বেঁচে থাকা যায় তা প্রতি পদে পদে মানবজাতি প্রমাণ করে চলেছে।





এই একবছরে আমরা এমন অনেক দৃষ্টান্ত দেখতে পেয়েছি। আজ আমরা আপনাদের বলব টিটাগড়ের বিবেকনগরের বাসিন্দা দেবজ্যোতি সাহা ও জ্যোতির্ময়ী সাহার কথা। এনারা সম্পর্কে ভাইবোন হন। দুজনেই ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করেছেন। দেবজ্যোতি এক বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত।





কিন্তু ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তাঁর বেতন অর্ধেক হয়ে যায়। কারণ সেই সময় কো-রো-নার দাপট প্রকট ভাবে ছিল। আর জ্যোতির্ময়ী কোনো চাকরি করতেন না। এমতাবস্থায় কী করা যায় তাঁরা ভেবে পাচ্ছিলেন না। তাঁদের বাবার একটা পুরোনো দোকান ছিল যা গত একবছর ধরে বন্ধ।





দুজনে মিলে পরামর্শ করে সেই দোকানটি খোলেন এবং শুরু করেন ফুচকা বিক্রি। তার আগে অবশ্য মাস খানেক জুড়ে ফুচকা নিয়ে নানা রেসিপি তাঁরা চেষ্টা করেন তাঁদের খুড়তুতো, মাসতুতো ও পিসতুতো ভাইবোভাইবোনদের সাথে মিলে। তাঁদের পরিচিতদের সেই সব রেসিপি ট্রাই করানোর পর তাঁরা বেশ কিছু রেসিপি নিয়ে শুরু করেন বর্তমান ফুচকার দোকানটি।





যত রকমের ফুচকা তাঁরা বিক্রি করেন তার মধ্যে গ্রাহকদের কাছে সবচেয়ে জনপ্রিয় চিকেন ফুচকা ও বাংলাদেশী ফুচকা। গতবছর ১৮ই অক্টোবর তাঁরা তাদের দোকানের শুভ উদ্বোধন করেন। একুশ বছরের জ্যোতির্ময়ীর স্বপ্ন এক ভালো কম্পানিতে চাকরি করার কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে সে ফুচকা বিক্রেতা হলেও স্বপ্ন দেখতে ছাড়েননি। তাঁদের এই ব্যবসা অনেক উন্নতি করুক এই কামনা আমরা করি।।




