




সঙ্গীত শিল্পী অভিজিৎ ভট্টাচার্যের নাম কেউ শোনেননি বা তাঁর অন্তত একটা গানও শোনেননি এমন ভারতীয় খুব কমই আছে। তাঁর গানের ফ্যান অনেকে। কিন্তু প্রায় প্রত্যেকেই একবাক্যে স্বীকার করবে যে অভিজিৎ আত্ম-অহংকারী। তাঁর ব্যবহার বহুবার তাঁর অনুগামীদেরকে হতাশ করেছে।





এহেন হঠাৎ মন্তব্য করেছেন বলিউডের বিখ্যাত অভিনেতা অক্ষয় কুমারের তারকা হওয়ার পিছনে অবদান আছে আভিজিৎ ভট্টাচার্যের। বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুনীল শেট্টি ও অক্ষয় কুমার আজ অভিজিতের গাওয়া গানে লিপ্ দিয়েই হয়েছেন এত বড় সুপারস্টার।





বিশেষ করে অক্ষয় কুমারের ক্ষেত্রে মন্তব্য করেন “গরীবের মিঠুন চক্রবর্তী” বলে। এক ইন্টারভিউ তে এই গায়ক বলেন যেকোনো অভিনেতার জন্য তিনি গান গাইতেন না, তাঁর গাওয়া গান নির্ধারিত থাকত তৎকালীন সময়ের বড়ো বড়ো তারকাদের জন্য।





এছাড়াও তিনি বলেন গান যতই ভালো হোক কিন্তু পর্দায় যদি বড়ো কোনো তারকা না থাকত তাঁর গান গাইতে ভালো লাগত না। তিনি আরও বলেন যখন তিনি চুটিয়ে গান গাইতেন তখন একদিকে ছিলেন শাহরুহ খান আর অন্যদিকে সুনীল শেট্টি।





ধীরে ধীরে শাহরুখ বড়ো সুপারস্টার হয়ে যান আর সুনীল শেট্টিও বেশ নাম করেন। শাহরুখের কথা বলতে গিয়ে “ক্লাসি” বিশেষণটি ব্যবহার করেন এবং সুনীলের ব্যপারে “রাফ এণ্ড টাফ” বিশেষণটি দেন অভিজিৎ। অভিজিৎ জোর গলায় বলেন অক্ষয়ের যে নাম আজ হয়েছে তার পিছনে তাঁর গাওয়া গানই মুখ্য কারণ।





প্রথম দিকে অক্ষয়কে ইণ্ডাস্ট্রিতে “গরীবের মিঠুন চক্রবর্তী” বলা হত ঠিক যেমনভাবে মিঠুন চক্রবর্তীকে বলা হত “গরীবের অমিতাভ বচ্চন”। তিনি বলেন মিউজিক খুব শক্তিশালী। মিউজিকের মাধ্যমে যেকোনো অভিনেতাকে রাতারাতি তারকা বানানোর অসীম ক্ষমতা আছে।





তাঁর মতে অক্ষয় কুমারের “খিলাড়ি” ছবিতে অভিজিৎ গান গাওয়ার পর থেকেই অক্ষয়কে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একসময় বহু তারকা সৃষ্টিতে তাঁর গাওয়া গানের ভূমিকা ছিল বলে দাবি করেন অভিজিৎ ভট্টাচার্য। আপনাদের কী মনে হয়?




