




বলিউড ইন্ডাস্ট্রি বাইরে থেকে রঙিন দেখা যেতে পারে তবে এর ভেতর থেকে সত্যিই এটি আধার। বলিউড সম্পর্কে আমরা যা শুনি বা দেখি সেটি আমাদের দেখানোর চেষ্টা করার মতনই সত্য। অন্যথায় এই শিল্পটি ভেতর থেকে একই অন্ধকার সত্যকে ধারণ করে যা আমরা খুব কম শুনতে পাই।





তাও আবার সেই ইন্ডাস্ট্রির কেউ যদি প্রকাশ্যে সেই কথা বলেন। শিল্পীদের অনেক ঘটনা প্রায়শই সামনে আসে, যেখানে কোন অভিনেতা ও অভিনেত্রী তাদের বাস্তব জীবনে প্রচুর ঝামেলা নিয়ে ভোগেন এবং যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যায় তখন তাদের এই জাতীয় কিছু পদক্ষেপ নিতে হয়। যার সম্পর্কে আজ আমরা আপনাদেরকে বলবো





হ্যাঁ আজ আমরা আপনাকে এমন এক বলিউড অভিনেত্রীর সাথে পরিচয় করিয়ে দেবো, আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে যাকে তার দেহের সাথে মোকাবিলা করতে হয়েছিল। দুর্ভাগ্যক্রমে কেউ সেই অভিনেত্রীকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসেনি এবং তাকে জোর করে নিজের শরীর বিক্রি করতে হয়েছিল।





আমরা বলিউড অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ সম্পর্কে বলছি। যিনি 2002 সালে মাকদি ছবি থেকে শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে পা রেখেছিলেন। লক্ষণীয় যে সে তার প্রথম ছবিটি থেকে প্রচুর খ্যাতি পেয়েছিলেন এবং এর পরে তিনি বাংলা তেলেগু তামিল সিনেমায় কাজ করেছেন। এছাড়াও তিনি টিভি জগতেও দক্ষতা দেখিয়েছেন।





কিন্তু কিছুদিন পরে শ্বেতার জীবন লাইনচ্যুত হতে শুরু করে এবং অর্থের অভাবের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তাকে। যার পরে তাকে প’তি’তা’বৃ’ত্তি’র মাঠে নামতে হয়েছিল। শ্বেতা অবশ্য নিজেই এই বিষয়টি স্বীকার করে বললেন যে অর্থের অভাবে তাকে ঐসব কাজ করতে হয়েছিল। তার কাছে আসা অর্থ আসা সকল উপায়ে বন্ধ ছিল তাই সে এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করা হয়েছিল।





যাই হোক এখন আর্থিক সংকটের একটি খারাপ ধাপ পেরিয়ে যাওয়ার শ্বেতা তার অতীতকে ভুলে এগিয়ে গিয়েছে তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো যদি আর্থিক সীমাবদ্ধতা কারণে সে তার দেহ বিক্রি শুরু করেছিলেন।





আমরা বলিউডে যেই চেনা পরিচিত মুখগুলো দেখি সেগুলো আসলে নকল। শেষ অব্দি তথ্যের জন্য আপনাকে জানিয়ে দি যে অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ তার প্রথম ছবির জন্য সেরা শিশু শিল্পীর জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। শ্বেতার জন্ম 1999 সালের 11 জানুয়ারি তৎকালীন বিহারের জামশেদপুরে।





ছোটবেলার শ্বেতা পরিবার নিয়ে মুম্বাই চলে যায় এবং যার পরে তিনি সেখান থেকে পড়াশোনা শিখে সাংবাদিক ডিগ্রী অর্জন করে একটি নামী পত্রিকায় লেখালেখি শুরু করেন। শ্বেতা 2002 সালে বিশাল ভরদ্বাজের ছবি মাকদির পরে 2009 সালে পরিচালক নাগেশের চলচ্চিত্র ইকবালেও কাজ করেছেন। এর পরে তিনি পরিচালক রামগোপাল ভার্মার ছবির ডারনা জারুরি হে তেও কাজ করে সুযোগ পেয়েছিলেন। তারপরও তিনি ধারাবাহিকভাবে বলিউডের পরে অনেক আঞ্চলিক ভাষার চলচ্চিত্রের অংশ হয়েছিলেন।।




