




২১-২২ বছর বয়সে যেখানে অনেকে নিজের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে পারে না সেখানে কেউ কেউ এই বয়সেই নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। IAS আনসার আহমেদ, IPS হাসান সফীন, জজ ময়ঙ্ক প্রতাপ সিং -এই তিনজনের নাম সবথেকে কম বয়সে IAS,IPS,জজ হওয়ার রেকর্ডে আছে। আনসার আহমেদ শেখের জন্ম হয় ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রের জালনা জেলার শেলগ্রামে।





আনসার যখন চতুর্থ শ্রেণীতে ছিলেন তাঁর বাবা তাঁর নাম স্কুল থেকে বাদ দিতে চান। কিন্তু স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বোঝানোর কারণে তা সম্ভব হয় না। এরপর আনসার ৯১% নিয়ে স্কুল পাশ করেন। তিনি পুণের ফার্গুসন কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েট হন। এইসময় তাঁর পড়াশোনার সমস্ত খরচ তাঁর ছোটো ভাই অনীশ শেখ দেন।





এছাড়াও তাঁর এক বন্ধু মুকুন্দ আর দিল্লির একটি এনজিও অনেক সাহায্য করে। তিনি তাঁর বংশের প্রথম গ্রাজুয়েট ছিলেন। পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য তাঁকে একটা হোটেলে ওয়েটার -এর কাজ করতেও হয়। ২০১৫ সালের ইউপিএসসি পরীক্ষায় তিনি ৩৬১ রাঙ্ক পেয়ে IAS অফিসার হন। বর্তমানে তিনি MSME আর টেক্সটাইল বিভাগের আইএহডি -র পদে নিয়োগ আছেন।





সফীন হাসানের জন্ম ১৯৯৫ সালে গুজরাটের বনাসকান্ঠা জেলার পালনপুর তহসিল এর গ্রামে হয়। গ্রামের সরকারি স্কুল থেকে পড়ার পর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়া তিনি পালনপুরের প্রাইভেট স্কুল থেকে করেন। সফীন হাসানের পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক দেখে প্রিন্সিপাল তাঁর ফিস মাফ করে দেন। সফীন যখন কলেজের পড়া শেষ করে UPSC পড়ার জন্য দিল্লি যাওয়ার কথা স্থির করেন তখন তাঁদের গ্রামের হুসেন ভাই ও তাঁর স্ত্রী সমস্ত খরচা দেন।





২০১৭ সালের UPSC পরীক্ষায় ৫৭০তম রাঙ্ক প্রাপ্ত হয়ে মাত্র ২২ বছর বয়সে IPS অফিসার হন। ময়ঙ্ক প্রতাপ সিং -এর ১৯৯৮ সালে রাজস্থানের জয়পুর জন্ম হয়। তিনি মাত্র ২১ বছর বয়সে জজ হন। ২০১৮ সালে রাজস্থান ন্যায়িক সেবা পরীক্ষায় এই সফলতা পান। সবথেকে আশ্চর্যের বিষয় তিনি কোনো কোচিং ছাড়া এই সফলতা অর্জন করেন। তিনি জানান নিজের লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ার থেকে দূরত্ব করে নেন। এই তিনজনের সফলতা আজ বহু যুবক-যুবতীর প্রেরণা।।




