




বিভিন্ন বাগানেই ফল চুরির ভয়ে বাগান মালিক পাহারাদারের ব্যবস্থা করে থাকেন। এ আবার নতুন কি? কিন্তু কখনও শুনেছেন কি মাত্র ছয়-সাতটি ফলের পাহারায় ৪ জন পাহারাদার আর ৬ জন জার্মান শেফার্ড? হ্যাঁ ঠিক এতটাই কড়া পাহারায় রাখা হয় এক বিশেষ প্রজাতির আমকে।





দাম শুনলেই বুঝতে পারবেন এত কড়া পাহারার কারণ। মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে আছে এই আমের বাগান। আম মানেই ফলের রাজা। গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাব-দাহ সহ্য করে যখন মানুষ ফলের রাজার স্বাদ পায় তখন এক নিমেষেই মনে হয় সব কষ্ট বুঝি সার্থক হল।
তা যতই স্বাদের দিক থেকে অনন্য হোক কোনো আম-কে তো এত পাহারায় রাখা হয় না তবে এই আমের বেলায় কেন? আর পাঁচটা হিমসাগর, ল্যাঙরা, মল্লিকা, গোলাপখাস, বেগমপসন্দ -এর সাথে এই আমকে এক করলে চলবে না। এটি বিশ্বের অন্যতম বিরল প্রজাতির আম। যার নাম মিয়াজাকি।





এই আমের উৎপত্তি জাপানে। লাল বর্ণ ও ভিতরে উজ্জ্বল শাঁসের জন্য এই আমকে জাপানে “সূর্যের ডিম” বলা হয়ে থাকে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই আম ২ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়ে থাকে। বিশেষ তাপমাত্রা, নির্দিষ্ট পরিমাণ জল, পরিমিত সার সহ একাধিক জিনিসের পর্যাপ্ত ব্যবহারে মিয়াজাকি আম চাষ করতে হয়।





১৯৭০ এর শেষের দিকেই জাপানের মিয়াজাকি শহরে চাষ হতে থাকে এই বিরল প্রজাতির আম। একটি আমের দাম যা তাতে কোনো আম নষ্ট হলে লোকসান প্রচুর সে কারণেই আমের বোঁটার সঙ্গে গাছের মূল ডাল শক্ত লাইলনের দড়ি দিয়ে বেঁধে দেওয়া হয়। এই কারণে আম সহজে খসে পড়ে না।





এছাড়াও যাতে পাখি, হনুমান, কোনো প্রকার গবাদি পশুর কারণে যাতে আম না নষ্ট হয় তার দিকে সর্বক্ষণ নজরদারি করা হয়। অনেকের মতে আফগানিস্তানের নূরজাহান -এর পরই নাকি এই আম -এর স্বাদ। এই আমের চারা পাওয়া কিন্তু মোটেই সহজ নয়। জাপানের মিয়াজাকি নামক সংস্থায় এই আমের চারা পাওয়া যায়। যাঁরা এই আমের স্বাদ নিতে পেরেছেন তাঁদের মতে এই আম স্বাদে ও গন্ধে সত্যিই অনন্য।।




