




আমরা এমন অনেক উদাহরণ দেখে থাকি যেখানে গরীব বাবা-মায়ের সন্তান তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করে তাঁদের গর্বিত করেন। আর তাঁদের বাবা-মাও নিজেদের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করেন তাঁদের সন্তানকে কষ্ট থেকে দূরে রাখতে। এমনই এক বাবা হলেন উত্তর প্রদেশের চন্দৌলির এক সাফাইকর্মী।





১০ বছর আগে তিনি এক স্বপ্ন দেখেন যা অন্যেরা শুনে তাঁকে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে। কিন্তু আজ ১০ বছর পর যখন তাঁর ছেলে সেই স্বপ্ন পূরণ করে তখন তারাই তাঁকে সম্বর্ধনা জানায়। ১০ বছর আগে বিজেন্দ্র কুমার নিজের ছেলেকে আর্মি অফিসার বানাতে চায়।





এই কথা শুনে অনেকেই ব্যঙ্গ করে কিন্তু তিনি সেসব কথাকে গুরুত্ব দিতেন না। তাঁর বড়ো ছেলে তাঁর সেই স্বপ্ন পূরণ করেন। সুজিত দেরাদুন মিলিটারি একাডেমী থেকে গ্রাজুয়েশন পাস করেন। চন্দৌলির বসীলা গ্রামের প্রথম আর্মি অফিসার সুজিত। এখন তিনি অনেকের প্রেরণা।





কিন্তু দুঃখজনক হল তাঁর বাবা-মা নিজেদের স্বপ্ন পূরণ হতে স্বচক্ষে দেখতে পারলেন না। আসলে কো-ভি-ড এর কারণে অফিসার দের পরিবারের কেউই পাসিং আউট প্যারেড এ সামিল হতে পারে নি। বিজেন্দ্র কুমারের চার সন্তান। যেমন বড় ছেলে সুজিত কে পড়াশোনা করিয়ে তিনি যোগ্য করে তুলিছেন তেমনই অন্যদেরও করতে চান।





তাঁর ছোটো ছেলে আইআইটি-র পড়াশোনা করতে চায়। আর দুই মেয়ের এক মেয়ে ডাক্তার হতে চায় আর অপরজন হতে চায় IAS অফিসার। নিজের সন্তানদের পড়াশোনার সুবিধার জন্য তাঁরা বারানসী তে থাকেন। বাবা-মা সন্তানদের সুবিধার জন্য অনেক রকমের ত্যাগ স্বীকার করতে পারে তার অন্যতম দৃষ্টান্ত এটি।।




