




আমাদের সিদ্ধান্ত যদি অটল থাকে তাহলে কোনো কিছুই আমাদের পথের বাঁধা হতে পারে না। সব সমস্যার জন্য সাহসিকতার সাথে তৈরি থাকলে আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছানোর পথ সুদৃঢ় হয়। আমরা সবাই-ই জীবনে কিছু করতে চাই, কিছু হতে চাই। কিছু মানুষের পড়াশোনার প্রতি এত ভালোবাসা থাকে যে তাঁরা জীবনে সফলতা অর্জন করতে পারেন।





আজ এমনই এক UPSC ক্যানডিডেট এর কথা আপনাদের বলব। যে নিজের পরিশ্রমের জোরে সফলতা লাভ করেছেন। আমরা উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা নুরুল হাসানের কথা বলছি। যাঁর জীবন খুবই কষ্ট আর অভাবের মধ্যে কেটেছে। কিন্তু এই অভাব তাঁর পথের কাঁটা হতে পারেনি। তাঁর বাবা সাধারণ চাকরি করতেন। নুরুলের ইচ্ছে ছিল UPSC পরীক্ষা দিয়ে সিভিল সার্ভিস-এর সাথে যুক্ত হতে যাতে তিনি অন্য মানুষদের সেবা করতে পারেন।





এরপর তিনি IPS অফিসার হন। এক ইন্টারভিউ তে তিনি বলেন তিনি যেই স্কুলে পড়তেন সেই স্কুলে বৃষ্টির সময় জল পরতো। এর মধ্যেও তাঁদের পড়াশোনা করতে হত। পঞ্চম শ্রেণীতে উঠে তিনি A,B,C,D শেখার কারণে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত তিনি ইংলিশে দুর্বল ছিলেন। তিনি তাঁর বন্ধুদের মতো এন্ট্রান্স এক্সামের জন্য কোচিং নিতে চেয়েছিলেন কিন্তু টাকার অভাবে তিনি সমর্থ হননি।





তাঁর বাবা গ্রামের জমি বিক্রি করে তাঁকে বি.টেক এ ভর্তি করান। কোচিং জয়েন করার পর তাঁর সিলেকশন আইআইটি তে না হলেও আলিগড় মুসলিম ইউনিভার্সিটি তে হয়ে যায়। AMU তে পড়া-কালীন তিনি হাঁটা-চলা, কথাবার্তা বলার রীতি শেখেন। তখনই তিনি UPSC পরীক্ষা দেওয়ার মন তৈরি করেন। বি.টেক পড়ার পর তিনি একটি ছোটো চাকরি পান।





এরপর তিনি ভাইভা তে সিলেক্ট হন এবং বড়ো কম্পানি তে চাকরি পান কিন্তু তাও তাঁর UPSC পরীক্ষা দেওয়ার ইচ্ছে বজায় থাকে। প্রথমবারে তিনি সফলতা না পাওয়ায় অনেকে তাঁকে অপমান করেন। কিন্তু তিনি চেষ্টা করতে থাকেন এবং সেল্ফ স্টাডিজ এর মাধ্যমে UPSC পাস করেন। আর IPS অফিসার হিসেবে নিয়োগ হন। নিজের সফলতার পর তিনি সবাইকে বলেন চেষ্টা করে, হার না মেনে কঠোর পরিশ্রম করলে সবাই নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। নুরুল হাসানের কাহিনি অনেক ছাত্র-ছাত্রীর অনুপ্রেরণা।।




