




পুরুষ প্রধান দেশে কোনো মেয়ের চাকরি করাকে অনেক বড় ব্যাপার বলে মনে করা হয় আর তা যদি সরকারি চাকরি হয় তাহলে সেই নিয়ে চর্চা প্রচুর হয়ে থাকে। এমনই কিছু করেছেন বিহারের বাসিন্দা রাজিয়া সুলতান। তিনি বিহারের প্রথম মুসলিম মহিলা যে DSP হয়েছেন। কে এই রাজিয়া সুলতান যাকে নিয়ে এত আলোচনা?





আসুন জেনে নিই তাঁর ব্যাপারে। বিহারের রাজিয়া সুলতান গোপালগঞ্জ জেলার হথুয়ার রতনচক গ্রামের বাসিন্দা। রাজিয়ার বাবা মহম্মদ আসলাম আনসারি পেশায় স্টেনোগ্রাফার ছিলেন। তিনি ঝাড়খন্ডের বোকারো স্টিল প্ল্যান্ট -এ কাজ করতেন। কিন্তু ২০১৬ সালে তিনি মারা যান। ছোটো থেকেই রাজিয়ার পড়াশোনার প্রতি ঝোঁক ছিল। রাজিয়ারা সাত ভাইবোন ছিলেন।





রাজিয়া ছিলেন সবথেকে ছোটো। রাজিয়া বোকারো থেকে স্কুল পাস করেন এরপর তিনি রাজস্থানে চলে যান আর যোধপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন পাস করেন। এরপর তাঁর বিদ্যুত বিভাগে চাকরি হয়ে যায় আর তিনি পাটনা চলে যান। চাকরির পাশাপাশি তিনি BPSC পরীক্ষা দিতে চান তাই তিনি কোচিং-এ ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করেন।





কিন্তু পাটনাতে ভালো ইংলিশ মিডিয়াম কোচিং সেন্টার না থাকায় তাঁকে বাড়িতেই সেল্ফ স্টাডিজ করতে হয়। কথায় আছে পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই। তাই হয় রাজিয়ার সাথে। প্রথম প্রচেষ্টাতেই তিনি BPSC তে সফলতা পান। এবার ১৪৫৪ জন ক্যানডিডেট এর মধ্যে মাত্র ৯৮ জন সফলতা লাভ করেন। এই সফল পরীক্ষার্থীদের মধ্যে একজন ছিলেন বিহারের রাজিয়া সুলতান।





এই পরীক্ষায় সফল হওয়া পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ৪০ জনকে DSP পদে নিয়োগ করা হবে যার মধ্যে থেকে ৪ জন মুসলিম ছিলেন। এই ৪ জনের মধ্যে একজন ছিলেন বিহারের মুসলিম মহিলা রাজিয়া সুলতান। রাজিয়ার আগে কোনো মুসলিম মহিলা বিহারে DSP পদে নিয়োগ হয়নি আর নিজের অদম্য ইচ্ছা আর পরিশ্রমের কারণে তাই তিনি হয়ে যান বিহারের প্রথম মুসলিম মহিলা DSP।।




