




করোনা কেবল তাদের প্রিয়জনের থেকে মানুষদের আলাদা করেনি। করোনা মানুষ সমাজকে বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। যার মধ্যে সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং শারীরিক ক্ষতি প্রধান। কোন কারণ ছাড়াই অনেকগুলি জীবন অকালেই ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক লোককে কষ্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে, অনেক লোক লকডাউন এর কারণে চাকরি হারিয়েছেন।





অনেক লোক অনাহারে মারা গেছে। গতবছরের লকডাউন তো মনে আছে আশা করি। জ্যোতি নামের একটি মেয়ে বাবার সাথে গুরুগ্রাম থেকে বিহার যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় কারণ তারা ভেবেছিল তার বাবা গ্রামে গিয়ে খাবার পেতে পারে। জ্যোতির মতন অনেক গল্প আছে যেগুলি করোনার সময় আমরা দেখতে পেয়েছি।





করোনা শুধুমাত্র মানুষের থেকে মানুষকে কেড়ে নেয় নি তাদের আর্থিকভাবেও পঙ্গু করে দিয়েছে। যার কারণে অনেক বাড়িতে খাবারের অভাব পড়ে। উড়িষ্যার কটক এ বসবাসকারী এক ব্যক্তির ক্ষেত্রে একই ঘটনা ঘটেছিল। করোনার কারণে তারা লকডাউন এ কাজ হারিয়ে ফেলে।





তারপরে আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে বাড়িতে যখন খাওয়ার কিছুই অবশিষ্ট ছিল না তখন তার মেয়ে সাহস করে পরিবারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিল। এখন এই মেয়ে খাবার সরবরাহ করে তার পরিবারকে খাওয়াচ্ছে। যে বয়সে মেয়েরা স্কুল কলেজে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে সেই বয়সে বিষ্ণুপ্রিয়া কে কাজ করতে হয়েছে তাও পরিবারের মুখে দু’বেলা খাবার তুলে দেওয়ার জন্য।





18 বছর বয়সী বিষ্ণুপ্রিয়া পড়াশোনা করে ডাক্তার হয়ে উঠতে চেয়েছিলেন কিন্তু করোনা সবকিছু বদলে দেয়। নিয়তির কাছে তার জন্য অন্য কিছু লেখা ছিল হয়তো। এই কারণেই করোনার সময় যখন তার বাবা চাকরি হারিয়ে ফেলে বিষ্ণুপ্রিয়া কাজের জন্য এদিক-ওদিক হন্যে হয়ে ঘুরতে থাকে।





এই সময় তিনি খাবার ডেলিভারি অ্যাপস জমাটো তে একটি ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন এবং সিলেক্টেড হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি ঘরে ঘরে খাবার ডেলিভারির কাজ করেন। এই কাজের আগে বিষ্ণুপ্রিয়া বাইক চালাতে জানতেন না। তার বাবা তাকে বাইক চালানো শিখিয়ে ছিলেন এবং জীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন।





বিষ্ণুপ্রিয়ার মা বলেন আমাদের কোন ছেলে নেই, বিষ্ণুপ্রিয়া আমাদের ছেলে। বাবার চাকরি চলে যাওয়ার পড়ে সে এখন সংসার চালাচ্ছে। চাকরির পাশাপাশি সে নিজে পড়াশোনা করে, বাচ্চাদের টিউশনি পড়ায় এবং গৃহস্থালির কাজ কর্মে প্রয়োজন হলে তাদের সহায়তা করে।





এমন পরিস্থিতিতে বিষ্ণুপ্রিয়ার এই গল্পটি কোন অনুপ্রেরণার গল্প চেয়ে কম নয়। তিনি পরিস্থিতির মুখে হাল ছাড়েননি এবং তার পরিবারের সহায়কে পরিণত হন তিনি। সেই সব লোকেরা বিষ্ণুপ্রিয়ার কাছ থেকে অনেক কিছু শিখতে পারেন যারা পরাজিত হবার সাথে সাথে ক্ষুদ্রতম সমস্যার সামনেও হার মেনে জান।।
Odisha: Bishnupriya Swain, a student in Cuttack picked food delivery work after her father lost job amid pandemic
"I was taking tuitions.During COVID students weren't coming to class. We were facing financial issues. I joined Zomato to support my education&family,"she said y'day pic.twitter.com/TGfBPZDvZm
— ANI (@ANI) June 10, 2021